সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। ক্রান্তি ব্লকের চ্যাংমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের আপালচাঁদে বিমলা বাওলি (৪১) খুনে অভিযুক্ত তাঁর স্বামী রামপ্রসাদ বাওলির খোঁজ পায়নি পুলিস। কী কারণে স্ত্রী’কে খুন, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এলাকায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অনেকরকম কথা। তবে জামাইয়ের বিরুদ্ধে মৃত বধূর পরিবার ক্রান্তি পুলিস ফাঁড়িতে খুনের লিখিত অভিযোগ করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। অভিযুক্তের খোঁজে পুলিসের পাশাপাশি স্থানীয়রাও আপালচাঁদ জঙ্গলে বুধবার তল্লাশি চালান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপ্রসাদ বাওলি ঠান্ডামাথার লোক। দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ে দু’জনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভাব ভালোবাসাও ছিল। আগে এই দম্পতি কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। বেলাকোবা থেকে সবজি কিনে টোটোয় করে শিলিগুড়িতে গিয়ে বিক্রি করতেন। আবার কখনও মৌলানি থেকেও সবজি কিনে শিলিগুড়িতে গিয়ে বিক্রি করতেন তাঁরা। কিন্তু গজলডোবায় তিস্তা ব্যারাজ রোড সংস্কারের জন্য ওই পথ বন্ধ হতেই তাঁরা সবজি বিক্রির ব্যবসা বন্ধ করে দেন। রামপ্রসাদ টোটো চালানো শুরু করে। বিমলা বাড়িতেই থাকতেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি ফিরে আসে রামপ্রসাদ। বিকেলের দিকে স্থানীয়রা তাকে একটি ওষুধের শিশি হাতে নিয়ে আপালচাঁদ জঙ্গলের দিকে যেতে দেখেন। এদিকে সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে আলো না জ্বলায় স্থানীয়রা বিমলাকে ডাকাডাকি করেন। উত্তর না পেয়ে দরজায় ধাক্কা দিতেই খুলে যায়। উঁকি দিতেই কয়েকজন দেখেন বিমলা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এরপরই শোরগোল পড়ে যায়। খবর পেয়ে চলে আসে ক্রান্তি ফাঁড়ি ও মাল থানার পুলিস। তারা দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এরপরই রামপ্রসাদের খোঁজ শুরু হয়। রাতেই পুলিস ও স্থানীয় বাসিন্দারা আপালচাঁদ জঙ্গলের আশেপাশে খুঁজে দেখেন। এদিন সকাল থেকে জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করা হয়। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রামপ্রসাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রামপ্রসাদের অনুপস্থিতিতে অনেকেরই ওই বাড়িতে যাতায়াত ছিল।
মাল থানার আইসি সৌম্যজিৎ মল্লিক বলেন, খুনের মামলা রুজু হয়েছে। মৃতার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। ওই ব্যক্তির খোঁজ চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।