• চিতাবাঘ ও হাতির দাঁত সহ ধৃত দম্পতি
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: মঙ্গলবার গভীর রাতে আলিপুরদুয়ারের একটি গোপন ডেরায় হানা দিয়ে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ সহ এক দম্পতিকে বনদপ্তর গ্রেপ্তার করল। বনদপ্তর জানিয়েছে, ধৃত দম্পতির নাম পরিমলচন্দ্র দে ও দেবযানী রায় দে। বন্যপ্রাণীর দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কোচবিহার কোতোয়ালি থানার ঝিনাইডাঙার বাসিন্দা ধৃত দম্পতির কাছ থেকে চিতাবাঘের চারটি দাঁত ও হাতির তিনটি দাঁত বাজেয়াপ্ত করেছে বন বিভাগ। বাজেয়াপ্ত হওয়া হাতির তিনটি দাঁতের ওজন প্রায় দুই কেজি। ধৃতদের কাছ থেকে বনদপ্তর একটি বিলাসবহুল গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে। বন্যপ্রাণীর ওই দেহাংশ প্রতিবেশী দেশ ভুটান নাকি অন্য কোনও দেশে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল ধৃতদের, তা খতিয়ে দেখছেন বনকর্মীরা। 

    সূত্রের খবর, বন্যপ্রাণীর দেহাংশ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোনও একটি রাজ্য থেকে সড়কপথে এখানে আনা হয়েছিল। যা ভুটানেই পাচারের লক্ষ্য ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে বনদপ্তর মনে করছে। বনদপ্তর জানিয়েছে, ধৃত পরিমল দে’র বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে এর আগে দু’টি মামলা রয়েছে। তার স্ত্রী দেবযানী এলাকায় ফিজিওথেরাপিস্টের কাজ করত। সেই কাজের আড়ালেই ওই দম্পতি বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারে কেন যুক্ত হয়ে পড়ল, তা খতিয়ে দেখছে বনদপ্তর ও পুলিস। 

    কোচবিহারের ওই দম্পতি বিলাসবহুল জীবনের আড়ালে যে বন্যপ্রাণী দেহাংশ পাচারে যুক্ত সেই খবর বনদপ্তরের কাছে অনেকদিন আগেই ছিল। তারপরেই বনদপ্তরের আধিকারিক স্বর্ণদীপ্ত রক্ষিতের নেতৃত্বে একটি টিম ওই দম্পতির দিকে কড়া নজর রাখছিল। খবর পাকা হতেই রাতে তাদের ধরে এবং বড়সড় সাফল্য মেলে। জেলার একটি গোপন আস্তানা থেকে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ সহ ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান বলেন, হাতি ও চিতাবাঘের দাঁত সহ ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)