• বিদ্যুতের অভাবে ব্যবহার হয় না ইন্ডোর ভবনের দ্বিতীয়তল, মেঝেতেই চিকিৎসা
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কামারপুকুর: কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নতুন দোতলা ইন্ডোর ভবন রয়েছে। দোতলায় ওঠার জন্য আছে ঝাঁ চকচকে লিফট। কিন্তু, মাঝেমধ্যেই দীর্ঘ সময় ধরে লোডশেডিং হয়। লিফটে ওঠার পর লোডশেডিং হলে আটকে যেতে হবে। বিকল্প হিসেবে র‌্যাম্পের ব্যবস্থাও নেই। সেই কারণে পাঁচবছরের বেশি সময় ধরে হাসপাতালের ইন্ডোর বিভাগের ভবনটির দ্বিতীয়তল অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আসবাবপত্র ও মেঝে ধুলোয় ঢাকছে।

    নতুন ভবনের নীচতলায় পুরুষ ও মহিলা বিভাগ পাশাপাশি রয়েছে। অনেকসময় বেড না পেয়ে রোগীদের মেঝেতেই শুয়ে থাকতে হয়। পুরুষ, মহিলা, শিশু-সমস্ত রোগীকেই হয়রানির মুখে পড়তে হয়। লেবার রুমও নীচে সরিয়ে আনা হয়েছে। ইন্ডোর ভবনে দোতলা থাকলেও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের কর্মী সুমন ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। দোতলায় যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি বললেন, লিফটে ওঠা যাবে না। কারণ লোডশেডিং হলে আটকে যেতে হবে।

    বিএমওএইচ অভিজিৎ ঘোষ বলেন, আমাদের হাসপাতাল চত্বরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই। মাঝে মাঝে দীর্ঘ সময় ধরে লোডশেডিং হয়। হাসপাতালের নিজস্ব পাঁচ কেভির জেনারেটর রয়েছে। কিন্তু, তা দিয়ে সমস্ত ভবনের বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া যায় না। ওই জেনারেটরে লিফট চলবে না। তাই দোতলা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ২৪ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য আমরা অনেকদিন আগেই আবেদন করেছি। কিন্তু, এখনও তার ব্যবস্থা হয়নি।

    কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালের জন্য ২০১৬সালে নতুন ভবনের অনুমোদন হয়। ২০১৯সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ভবন হস্তান্তর করা হয়। ওই ভবনে ৬০টি বেডে চিকিৎসার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু, এখন নীচেরতলার ৩০টি বেডে চিকিৎসা চলে। দোতলার ১০টির বেশি ঘর ভুতুড়ে বাড়ির চেহারা নিয়েছে। ফলে গোঘাট-২ ব্লকের ন’টি পঞ্চায়েতের রোগীরা সমস্যায় পড়েছেন।

    বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আরামবাগের ডিভিশনাল ম্যানেজার অনিরুদ্ধ মণ্ডল বলেন, ওই হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। কয়েকবছর আগে এই কাজের ওয়ার্ক অর্ডার হয়েছে। মাঝে কিছু গাছের কারণে কাজ থমকে যায়। আবার কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, চলতি বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)