• হাবড়া-অশোকনগরে চন্দ্রবোড়ার উপদ্রব, চরম উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী
    বর্তমান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন ছিল হাবড়া ও অশোকনগরের বেশ কিছু এলাকা। ধীরে ধীরে কমছে জল। তবে হাবড়া ও অশোকনগরে বাড়ছে বিষধর সাপের উপদ্রব। মূলত চন্দ্রবোড়া সাপের উপদ্রবে অতিষ্ঠ মানুষ। প্রতিদিনই একাধিকজন সাপের কামড়ে অসুস্থ হচ্ছেন। মাসখানেক ধরে এই প্রবণতা বাড়ছে। ফলে পুজোর মুখে উদ্বেগ বাড়ছে আমজনতার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন থাকার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এক কর্তার কথায়, বসতবাড়িতে যাতে সাপ না ঢোকে তার জন্য মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। উঁচু জায়গায় মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনো, বাড়ি ও আশপাশে ব্লিচিং, অ্যাসিড ছড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  বেশ কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে যায় হাবড়া ও অশোকনগর পুরসভার বেশ কিছু এলাকা। পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতেই জল জমে থাকে। আশ্রয়হীন সাপেরা ঢুকে যাচ্ছে জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। ফলে সাপের উপদ্রব বাড়ছে। আর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা সাপগুলি ‘টার্গেট’ করছে মানুষকে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক মাসে প্রায় শতাধিক মানুষকে সাপে কামড়েছে। বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে চন্দ্রবোড়া, কালাচ সহ বিভিন্ন বিষধর সাপ যেমন রয়েছে তেমনি বিষহীন সাপের উপদ্রব রয়েছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতেও সাপের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে বলেই জানা গিয়েছে। ফলে দুশ্চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। বেড়াবেড়ি, বাঁশপুল, ভুরকুণ্ডা, মছলন্দপুর, হাবড়া ও অশোকনগর দুই শহরেও সাপের উপদ্রব। স্থানীয় বাসিন্দা জীবন দেব, প্রবীর মজুমদার বলেন, এখানে আগে এই ধরনের সাপের উপদ্রব দেখা যেত না। সম্প্রতি চন্দ্রবোড়া সাপের উপদ্রব বেড়েছে। হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার ডাঃ বিবেকানন্দ বিশ্বাস বলেন, সাপেদের বিচরণ ক্ষেত্র বৃষ্টির কারণে কমে গিয়েছে। তাই তারা জনবসতি এলাকায় চলে আসছে। সাপের কামড়ে অসুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। তবে, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। চিকিৎসার জন্য সবরকম ব্যবস্থা হাবড়া ও অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। অশোকনগর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকার বলেন, সাপের উপদ্রব বাড়ার কারণে বনদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া ব্লিচিং বা কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে এলাকায়। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)