নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: দুই কিশোরের মধ্যে গোলমালের জেরে একজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠল কারখানা মালিকের বাবার বিরুদ্ধে। তাতে জখম হয়েছে ১২ বছরের এক কিশোর। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরডাঙা গ্রামে। আহত কিশোরকে প্রথমে বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে, পরে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। জখম কিশোরের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মজিদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিস তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার খেজুরডাঙা গ্রামে একটি ব্যাগ তৈরির কারখানা আছে। সেখানে কাজ করে বছর ১২-এর কিশোর। বুধবার কাজ চলাকালীন দুই কিশোর শ্রমিকের মধ্যে গোলমাল হয়। তখন মালিকের বাবা মজিদ মণ্ডল একজনকে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। মারের চোটে অজ্ঞান হয়ে যায় ওই কিশোর। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে নিয়ে আসা হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজে। আক্রান্তের কাকা আবু সালাম খাঁ বলেন, কারখানার মালিকের বাবা ভাইপোকে বেধড়ক মারধর করেন। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।
তবে, এত অল্প বয়সে ওই কিশোরকে দিয়ে শ্রমিকের কাজ করানো প্রসঙ্গে পরিবার অবশ্য কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। আর মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে মজিদ মণ্ডল বলেন, আমার নাতির সঙ্গে ওই ছেলেটি ঝগড়া করছিল বলে আমি ঠেকিয়েছিলাম। শিশুশ্রমিক প্রসঙ্গে মজিদ বললেন, ওদের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ। তাই পরিবারের লোকজনই এখানে কাজে দিয়েছিল।