ডিউটি থেকে ফিরেই বাবা-মাকে গুলি করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা এসআই’য়ের, চাঞ্চল্য ঝাড়গ্রামে
প্রতিদিন | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: বাবা, মাকে গুলি করে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা এসআইয়ের। ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই পুলিশ কর্মীকে। কেন এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। বৃহস্পতিবার সাত সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুর গৌড়ীয়মঠের কাছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এবং কেন এই ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রাথমিক অনুমান, ওই পুলিশকর্মী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তা থেকেই এই ঘটনা ঘটাতে পারেন। ওই পুলিশকর্মীর বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে খবর, যেখানে বাবা মাকে গুলি করার কথা উল্লেখ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ওই এসআইয়ের নাম জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়। বয়স ৩২ এর কাছাকাছি। জানা গিয়েছে, ওই পুলিশকর্মীর বাড়ি আসানসোলে। কর্মসূত্রে জঙ্গলমহলে ছিলেন তিনি। রঘুনাথপুর গৌরিয়ামঠের কাছে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। জানা গিয়েছে, ২, ৩ এবং ৪ সেপ্টেম্বর ছুটি নিয়েছিলেন জয়দেব। ছুটিতে থাকাকালীনই এদিন সকালে বাবা-মা’কে লক্ষ্য করে জয়দীপ দুই রাউন্ড গুলি চালান বলে অভিযোগ।
নিজের সার্ভিস রিভালভার ব্যবহার করেই জয়দীপ গুলি চালান বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাস্থলেই বাবা দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং মা শম্পা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরেই ওই সার্ভিস রিভালভার থেকেই গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন জয়দীপ। গুলির শব্দ শুনেই ছুটে আসেন ওই বাড়ির মালিক।
দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় দেহগুলি পড়ে। পুলিশ গিয়ে দেহগুলি উদ্ধার করে। অন্যদিকে জয়দীপকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি খুবই আশঙ্কাজনক। স্থানীয়দের দাবি, বাবা মা খুব একটা রাস্তায় বের হতেন না। এমনকী ছেলের বিরুদ্ধে বাবা-মাকে আটকে রাখার অভিযোগও সামনে আসছে। স্থানীয়দের দাবি, মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন জয়দীপ। যদিও জয়দীপের এক সহকর্মী জানিয়েছেন,”বাবা-মাকে খুবই ভালোবাসতেন। সবসময় যত্নে রাখতেন। এই ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত।’’ ওই সহকর্মীর কথায়, বেশ কয়েকমাস হল বাবা খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আর তা নিয়ে চিন্তায় থাকতেন এবং মানসিকভাবে ভেঙেও পড়েছিলেন। আর সেই কারণেই এই ঘটনা? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।