• তৎকালের কাউন্টার বন্ধ রাতে, দুর্ভোগ
    আনন্দবাজার | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সকালের এনজেপি-হাওড়া শতাব্দীতে তৎকাল টিকিট কেটে ট্রেনে উঠতে রাতে কাউন্টারের সামনের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পরিমল উপাধ্যায়। দু’দিন আগের ঘটনা। কিন্তু কাউন্টার পর্যন্ত পৌঁছতেই ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে যায়। কারণ রাতে এনজেপিতে একমাত্র সংরক্ষিত টিকিটের কাউন্টার ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, তাতে যাত্রীদের সমস্যা বেড়েছে কয়েক গুণ।

    রাতে এনজেপি স্টেশনে তৎকাল টিকিট সংরক্ষণ, টিকিট বাতিল এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্যেও একটি কাউন্টার খোলা থাকত। কিন্তু ১ সেপ্টেম্বর থেকে সেটি তুলে দিয়ে সাধারণ অসংরক্ষিত টিকিট কাউন্টারের সঙ্গে এক করে দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, তার জেরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে যাত্রীদের ভোগান্তি। যদিও তা মানতে চাইছেন না কাটিহার ডিভিশনের রেলকর্তারা। কাটিহার ডিভিশনের বরিষ্ঠ ডিভিশনাল কমার্সিয়াল ম্যানেজার সঙ্গীতা মিনা বলেন, ‘‘কোথায় অসুবিধা? কাউন্টার তো রয়েছে। অসুবিধা হচ্ছে কি না আমি খতিয়ে দেখে তবে বলতে পারব।’’

    পুজোর সময় ট্রেনগুলিতে ভিড় বাড়ে। কিন্তু তার আগে এই সময় বেশ কিছু ট্রেনে অনেক সময় রাতের দিকে আসন ফাঁকাও পাওয়া যায়। কিন্তু অভিযোগ, রাতে সংরক্ষিত কামরার জন্য আলাদা কোনও কাউন্টার না থাকায় সেই সুবিধা পাচ্ছেন না যাত্রীরা। এনজেপির মতো বড় স্টেশনে যেখানে প্রতিনিয়ত অন্তত কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন, রাতের দিকে সেই সুবিধা কেন তুলে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

    জরুরি অবস্থায় টিকিট বাতিল করা, কোনও কিছু জানতে হলেও সাধারণ টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়ে, দীর্ঘ অপেক্ষার পরে তা জানতে হবে যাত্রীদের। রেল সংগঠনগুলি সূত্রের খবর, কর্মী সংকোচন করা হচ্ছে বলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক কর্মী অবসর নিচ্ছেন। অথচ, নতুন করে নিয়োগ করা হয়নি। তা সামাল দিতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। এর আগেও এনজেপি থেকে টিকিট কাউন্টারের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় বিতর্ক ছড়িয়েছিল।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)