জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে লেপটোস্পাইরা সংক্রমণ প্রতিরোধে বাড়তি নজর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দিতে ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ইমাম গাজারিকে রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দিতেই ওই বিশেষজ্ঞকে এক মাসের জন্য রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লেপটোস্পাইরার পাশাপাশি স্ক্রাবটাইফাসে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে রাজগঞ্জে। অন্য দিকে, জেলার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে স্বাস্থ্য দফতরের।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজগঞ্জে লেপটোস্পাইরা সংক্রমণ খানিকটা হলেও কমেছে। গত কয়েক দিনের তথ্য অনুযায়ী স্বাস্থ্য দফতর এমন দাবি করেছে। রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকরমারি-সহ সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে লেপটোস্পাইরা, হেপাটাইটিস এ ও স্ক্রাবটাইফাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল। এই সময়ে লেপটোস্পাইরায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ২২১ জন। হেপাটাইটিস এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৮৫ জন। স্ক্রাবটাইফাসে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৪৮ জন। হেপাটাইটিস ই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এক জন। বুধবার বিকেল পর্যন্ত রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে লেপটোস্পাইরা, হেপাটাইটিস এ ও স্ক্রাবটাইফাসে আক্রান্ত ১৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকরমারি-সহ সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলিতে গবাদি পশুর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করাতে পাঠিয়েছিল প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর। গবাদি পশুর শরীরে লেপটোস্পাইরোসিস ব্যাকটেরিয়া মিলেছে বলে সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে খবর। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্বাস্থ্য শিবির করে পশুদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।
অন্য দিকে, জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচশো ছুঁতে চলেছে। ডেঙ্গি ও মশাবাহিত রোগ রুখতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা জারি করা হয়েছে জেলা জুড়ে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার বলেন, ‘‘রাজগঞ্জে লেপটোস্পাইরা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জেলার ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’’