পুলিশ এবং প্রশাসন দায়িত্ব নিতে চায়নি। তাই দু’দিন ধরে উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সিমেস্টার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং ‘ওএমআর শিট’ আলিপুরদুয়ারের একাধিক থানা চত্বরে ট্রাকে পড়ে থাকল বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে সমস্যা সমাধানে বুধবার বিকেলে নতুন নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তবে রাত পর্যন্ত সমস্যা পুরো মেটেনি বলে খবর। ঘটনায় ক্ষুব্ধ সংসদ কর্তৃপক্ষ। পুলিশ-প্রশাসন পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেসংসদের ভূমিকায়।
আগামী ৮ সেপ্টেম্বর উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা। তার প্রশ্নপত্র এবং ‘ওএমআর শিট’ প্যাকেটবন্দি হয়ে ছোট ট্রাকে সোমবার বিকেল থেকে আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন থানায় আসতে শুরু করে। অভিযোগ, পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে সেগুলি বুঝে নিতে অস্বীকার করে বিভিন্ন থানার পুলিশ। ফলে, থানা চত্বরে পুলিশ নজরদারিতে ট্রাকেই সেগুলি রাখা হয়।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “আলিপুরদুয়ারে আমি নিজে গিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। অথচ, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে একমাত্র আলিপুরদুয়ারেই প্রশ্নপত্র ও ওএমআর শিটের ‘কাস্টডি’ নিয়ে এমন সমস্যা হল!’’ সংসদের আলিপুরদুয়ারের প্রতিনিধি ভাস্কর মজুমদার বলেন, ‘‘সমস্যামেটানো হবে।’’
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি। তবে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, আলিপুরদুয়ারে এ বার পরীক্ষার্থী ১২ হাজারের কাছাকাছি। উচ্চ মাধ্যমিকে ‘মাল্টিপল চয়েস’ প্রশ্নপত্র হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে ‘ওএমআর শিট’। জেলার থানাগুলিতে সে সব রাখার ব্যবস্থা রয়েছে কি না, তা যাচাই না করে, থানায়-থানায় পাঠানো হয়েছে। এই প্রশ্নপত্র এবং ‘ওএমআর শিট’ রাখতে যত ট্রাঙ্কের প্রয়োজন, সংসদ তারও ব্যবস্থা করেনি।
জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “থানায় এত সংখ্যক প্রশ্নপত্র এবং ওএমআর শিট রাখার ক্ষেত্রে জায়গার সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।” প্রশাসনের এক কর্তার আশ্বাস, প্রশ্নপত্র এবং ‘ওএমআর শিট’ নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা চলছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি জানান, সমস্যা সমাধানে সংসদের তরফে বিকেলে আর একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনে, পুলিশ লাইন বা পুলিশ ব্যারাকে ২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরার নজরদারি এবং পুলিশ পাহারায় প্রশ্ন, ‘ওএমআর শিট’ রাখতে বলা হয়েছে। সংসদের উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক শাখার আধিকারিক রাজীব বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ওএমআর শিট থাকায় সংখ্যা বেশি। তাই রাখার সমস্যা হয়েছে।’’