ফের চেনা মেজাজে ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেন। সামনের অপ্রতুল রাস্তায় গাড়ির সারি। ভিতরে অপেক্ষমাণ কর্মীরা। ভিড় বাড়তে বাড়তে দলীয় দফতর ছড়িয়ে চলে গেল রাজপথ পর্যন্ত। শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরে প্রথম বার কর্মীদের মনের কথা শুনতে বসলেন দলীয় দফতরে। উচ্ছ্বাস থেকে অভিমান, অভিযোগ থেকে উৎসাহ— ধৈর্য্য ধরে শুনে লিখে নিলেন নিজের খাতায়।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে হেস্টিংসের অস্থায়ী দফতর জৌলুস কেড়ে নিয়েছিল বিজেপির সাবেক রাজ্য দফতরের। পরবর্তী সময়ে বিধাননগরে দলীয় দফতর তৈরি হওয়ার পরে কার্যত গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছিল মুরলীধর সেন লেনের পুরনো বাড়ি। কিন্তু সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেই কালবিলম্ব না-করে বিধাননগর দফতর থেকে বেরিয়ে মধ্য কলকাতার সদর দফতরে এসেছিলেন শমীক। সে দিনই ইঙ্গিত স্পষ্ট ছিল। কর্মীদের ভিড়ে বুধবার মুরলীধর সেন লেনই হয়ে উঠল আকর্ষণের কেন্দ্র।
দায়িত্ব নেওয়ার পরেই শমীক ঠিক করেছিলেন, সপ্তাহে এক দিন কর্মীদের মনের কথা শুনবেন। সেই মতো এ দিন দুপুর থেকেই দলীয় দফতরে ছিলেন শমীক। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসা কর্মীর সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। তার মধ্যে পুরোনো কর্মীরাই অধিকাংশ। শমীকের কাছে তাঁদের অধিকাংশের ক্ষোভ, কাজ না-দিয়ে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। কর্মসূচির খবর দেওয়া হচ্ছে না। প্রায় এক ঘরে করে রাখা হয়েছে। শেষে শমীক বলেন, “প্রচুর মানুষ দেখা করতে চাইছিলেন। বিধাননগর দফতর কলকাতার প্রাণকেন্দ্র থেকে দূরে হওয়ায় অনেকেই যেতে পারছিলেন না। তাই এখানে বসলাম। কর্মীদের মধ্যে কোনও ক্ষোভ নেই। সবাই খুব উৎসাহী। মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছে।”