• ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের প্রশংসায় বিজেপি প্রধান
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ‘আমি খুশি’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের উন্নয়ন হবে, তাই খুশি।’ আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করলেন নদিয়ার হরিণঘাটা ব্লকের নগরউখড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান প্রফুল্ল দেবনাথ। বিজেপি প্রধানকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তৃণমূল।

    রাজ্যজুড়ে সরকারি প্রকল্প ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ চলছে। তিনটি বুথ নিয়ে একটি ক্যাম্প হচ্ছে। প্রতিটি বুথের দায়িত্বে থাকছেন একজন করে সরকারি আধিকারিক। অনেক সময়ে পাড়ায় ছোট ছোট সমস্যা জলের কল, বিদ্যুতের খুঁটি বসানো, ড্রেন পরিষ্কার, আবর্জনা জমা, খেলার মাঠের বেহাল দশা ইত্যাদি থেকেই যায়। এই ধরনের সমস্যা সমাধানে এই সরকারি প্রকল্প।

    হরিণঘাটা ব্লকের নগরউখড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালডোব এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান ক্যাম্প চলাকালীন সেখানে উপস্থিত ছিলেন খোদ বিজেপি প্রধান প্রফুল্ল দেবনাথ। সেখানে উপস্থিত হয়েই এই প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। প্রফুল্ল দেবনাথ বলেন, এই প্রকল্প চালু হওয়ায় আমি খুব খুশি। আমি বিজেপির প্রধান। তবু বলছি, জনগণের সুবিধার্থে কাজ হবে, তাই খুশি। আমি এখানে কোনো রাজনৈতিক রং দেখছি না। জনগণের সুবিধার্থে, জনগণের স্বার্থে যে কাজ হবে সেই কাজের সমর্থন করবো।

    তিনি আরো বলেন, আমরা জনগণের সমস্যার সমাধান করতে পারছি না। তাই আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান প্রকল্পে যে অর্থ পাওয়া যাবে, তা দিয়ে জনগণের উন্নয়নের কাজ হবে। জনগণের সমস্যার সমাধান হবে। এই প্রকল্পের অর্থ দিয়ে জনগণের যাতে সুবিধা করতে পারি, এটাই আমার কামনা আর বাসনা। এই প্রকল্প হওয়ায় আমি খুশি।

    ইতিমধ্যে এই সরকারি প্রকল্প জেলায় জেলায় সুপারহিট। বিজেপির প্রধানের এহেন বক্তব্য উপরি পাওনা শাসক দলের। প্রকল্প ঘোষণার পর থেকেই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে এসেছে গেরুয়া শিবির। ফলে বিজেপি প্রধানের এই বক্তব্য ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে অনেকটা অক্সিজেন তৃণমূলকে জোগাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

    বিজেপি প্রধানের এহেন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রানাঘাট দক্ষিণ তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি দেবাশীষ গাঙ্গুলি বলেন, সাধারণ মানুষের যে কথা, তার যে ভাবনা তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বিজেপির প্রধানের। উনি বাস্তব সত্যটা বলে দিয়েছেন। এর জন্য বিজেপি প্রধানকে অজস্র ধন্যবাদ জানাই। দলের ঊর্ধ্বে উঠে উনি সত্যি কথা বলেছেন। অনেক বিজেপি নেতা, কর্মীরা এই বহিঃপ্রকাশ করতে পারেন না। আস্তে আস্তে তাঁরাও মুখ খুলবেন।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই কর্মসূচি শাসক দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বুথ স্তরে সংযোগ বৃদ্ধির হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। যদিও বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন, এটি আসলে ভোটের আগে তৃণমূলের ‘বুথমুখী রাজনীতি’র কৌশল। প্রশাসনের দাবি, প্রকল্পটির একমাত্র উদ্দেশ্য হল দ্রুত নাগরিক পরিষেবা প্রদান ও প্রশাসনের নিচুতলার সঙ্গে জনগণের সরাসরি সংযোগ স্থাপন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)