• রাজ্যের উদ্যোগে কমেছে পথ-কুকুরের কামড়ের ঘটনা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • পথকুকুর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর দেশ জুড়ে তোলপাড় চলেছিল। সকলের প্রতিবাদে সেই রায়ে খানিক বদলও আনে শীর্ষ আদালত। প্রভুভক্ত প্রাণী বলে পরিচিত হলেও অনেক জায়গাতেই পথকুকুরদের ভয়ে তটস্থ থাকেন এলাকার মানুষ। তবে এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান একেবারেই অন্যরকম। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে রাজ্যে কুকুর কামড়ের ঘটনা অনেক হ্রাস পেয়েছে। আর এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে রাজ্য সরকারের সক্রিয় ভূমিকা। সরকার পথকুকুরদের নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্বীজকরণ এবং দত্তকগ্রহণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগের কারণে কুকুরের আক্রমণ অনেক কমেছে।

    “কুকুরের কাজ কুকুর করেছে/ কামড় দিয়েছে পায়/ তা বলে কুকুরে কামড়ানো কিরে/ মানুষের শোভা পায়?’ কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের এই কবিতার মতো প্রাণীপ্রেমীদের চিন্তাভাবনাও একেবারেই এক। কুকুরদের হত্যা করা কিংবা বলপূর্বক আটকে রাখা কোনও ভাবেই সমাধান হতে পারে না। তার চেয়ে সঠিক বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অনেক সহজ ভাবে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গও এ ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিই অনুসরণ করেছে। নির্বীজকরণ কর্মসূচির পাশাপাশি দত্তক কর্মসূচির মাধ্যমেও পথকুকুরদের অনেকেই আশ্রয় দিয়েছে। এর ফলে মানুষের উপর কুকুরদের আক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

    সরকারি সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর কলকাতা, হাওড়া এবং বিধাননগর পুরসভাকে পথকুকুরদের নির্বীজকরণ কর্মসূচির জন্য এক কোটি টাকা অর্থ দিয়েছে। গত বছর রাজ্যে কুকুরের কামড়ের সংখ্যা ৭৬ হাজার ৪৮৬ থেকে হ্রাস পেয়ে হয়েছে ১০ হাজার ২৬৪ জন। এই বিষয় রাজ্যের প্রাণীসম্পদ বিকাশমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, এই কর্মসূচির জন্য মানুষের সচেনতার বিশেষ প্রয়োজন। কারণ স্থানীয় মানুষরা অনেকেই এই কর্মসূচিতে বাধা দেন। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, ‘আমরা দেশের একমাত্র পুরসভা যাদের পথকুকুরদের জন্য নির্দিষ্ট বিভাগ রয়েছে। শহরে জলাতঙ্ক রোধের জন্য রয়েছে ১৯টি কেন্দ্র। রোজ গড়ে ২৫-৩০টি কুকুরের নির্বীজকরণের কাজ হয়।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)