তথাগত চক্রবর্তী: অভিনব কায়দায় কেপমারি। মুহূর্তে হাওয়া সাড়ে ১২ লাখ টাকা। হতভম্ব ব্যবসায়ী যুবক। বুধবার প্রকাশ্য দিবালোক বারুইপুর-ক্য়ানিং রোডের ছয়ানি এলাকার ঘটনা। পুলিসের তত্পরতায় পুলিস ইতিমদ্যেই এক দুষ্কৃতীকে আটক করেছে।
কী ভাবে ঘটল এমন ঘটনা? বুধবার বিকেলে বারুইপুর-ক্যানিং রোডের ছয়ানি এলাকায় বাইক থামিয়ে হোটেলে খাবার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন ভাঙড়ের ধান ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন মোল্লা। সঙ্গে ছিলেন আরও দুই সঙ্গী।
খাওয়াদাওয়ার মধ্যেই তাদের ঘিরে ধরে দুই দুষ্কৃতী। এরপর তারা শাহাবুদ্দিনের কাঁধে ঝোলানো কালো ব্যাগটি ধরে টানাটানি শুরু করে। শাহাবুদ্দিন বাধা দিতেই তারা চিৎকার করে বলে ওঠে, “ব্যাগে বন্দুক আছে।” মুহূর্তে আরও চারজন দুষ্কৃতী এসে ব্যবসায়ীকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়ে আশপাশের লোকজন। ব্যবসায়ীর ২ সঙ্গী ভয়ে পালিয়ে যায়। ফলে একা ব্যবসায়ীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ৬ দুষ্কৃতী। বেধড়ক মারধরের পর তার কাছ থেকে কালো ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
দুষ্কৃতীরা চলে যেতেই জানা যায় শাহাবুদ্দিনের ব্যাগে ছিল সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা ছিল। শাহাবুদ্দিন ওই টাকায় বিভিন্ন চাষির কাছ থেকে ধান কেনার জন্য বারুইপুরে এসেছিলেন। প্রকাশ্য রাস্তায় এমন কাণ্ডে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গুরুতর জখম হন ব্যবসায়ী। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে তার।
বুধবার রাতেই বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে নড়েচড়ে বসেছে পুলিস। ইতিমধ্যে এক দুষ্কৃতীকে আটক করেছে বারুইপুর থানার পুলিস। বাকি পাঁচজনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ব্যবসায়ী মহলে।