• মাকে খুন ছেলের? ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দাহ! শ্মশান থেকে আধপোড়া দেহ...
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • প্রসেনজিৎ সরদার: মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু! নেই ডেথ সার্টিফিকেট! শ্মশান থেকে শেষে আধপোড়া দেহ-ই নিয়ে আসল পুলিস! আটক করল ছেলেকে। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত ইটখোলা পঞ্চায়েতের বৈকুন্ঠপুর গ্রামে। 

    গ্রামের বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়সী শীতলা সরদার বুধবার মারা যান। স্থানীয় কালিগঙ্গা শ্মাশানে দাহ করার জন্য গ্রামের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে মায়ের দেহ নিয়ে পৌঁছয় ছেলে অরুণ সরদার। কিন্তু কোনও পঞ্চায়েতের ডেথ সার্টিফিকেট  ছিল না। এরপরই পুলিস খবর পেয়ে শ্মশানে পৌঁছয়। তখন শ্মশানে আধপোড়া সেই দেহ ওই অবস্থাতেই পিয়ালি নদীতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান শ্মশান যাত্রীরা।

    শেষে পুলিস ওই আধপোড়া দেহ উদ্ধার করে। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য। পরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিস সূত্রে খবর, কোনও প্রকার  মৃত্যুর শংসাপত্র দেখাতে পারেনি মৃতার পরিবার। কীভাবে শীতলা দেবীর মৃত্যু হয়, তার কোনও উপযুক্ত উত্তরও দিতে পারেনি ছেলে। যে কারণে ওই আধপোড়া দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

    কী কারণে শীতলা দেবীর মৃত্যু হয়? কেন কোনও ডেথ সার্টিফিকেট ছিল না? তড়িঘড়ি কেন দেহ পোড়ানো হচ্ছিল? সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিস। আটক করেছে ছেলে অরুণ সরদারকে। যদিও মৃত শীতলা দেবীর ছেলে অরুণ সরদারের দাবি,স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শংসাপত্র নিয়েই দেহ দাহ করার জন্য কালিগঙ্গা শ্মশানে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাহলে পুলিস আসতেই আধপোড়া দেহ নদীতে ফেলে পালাল কেন, উঠছে প্রশ্ন!

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)