• অবৈধ বৃক্ষনিধনেই বন্যা! চার রাজ্য ও কেন্দ্রকে সুপ্রিম নোটিস, তিন সপ্তাহে জবাবদিহি তলব
    প্রতিদিন | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যায় বিপর্যস্ত রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের চার রাজ্য। এই অবস্থায় নির্বিচারে গাছ কাটা নিয়ে কেন্দ্রে এবং ওই চার রাজ্যের প্রসাসনকে তুলোধোনা করল সুপ্রিম কোর্ট। অবৈধ বৃক্ষনিধন নিয়ে শীর্ষ আদালতের এদিন মন্তব্য করে, প্রকাশ্যে আইন ভাঙা হচ্ছে। এই বিষয়ে চার রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস পাঠিয়ে জবাবদিহি চাইল দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

    মেঘভাঙা বৃষ্টি, বন্যা, ধসে মৃত্যু হচ্ছে মানুষের, ভেঙে পড়ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাবের পর একটানা ভারী বর্ষণ বিপর্যস্ত দিল্লি। রাজধানী লাগোয়া নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ এবং ফরিদাবাদও জলে ভাসছে। বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। গতকাল নয়াদিল্লি বিমানবন্দরের ৩৪০টি উড়ান দেরিতে ওঠা-নামা করেছে। যমুনার জল বিপদসীমার উপরে বইছে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার বন্যা এবং এলাকায় অবৈধভাবে গাছ কাটার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা ওঠে প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চে।

    শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা অভূতপূর্ব বৃষ্টিপাত এবং বন্যা পরিস্থিতি মুখোমুখি। পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলিকে নোটিশ জারি করা হচ্ছে।” বর্তমা পরিস্থিতির সঙ্গে নির্বিচারে গাছ কাটার সম্পর্ক রয়েছে বলেই মনে করেন বিচারপতি গাভাই। তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে অবৈধভাবে গাছ কাটা চলছে।” যোগ করেন, “এটি অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা বলে মনে করছি।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “পাঞ্জাবে আস্ত গ্রাম এবং খেত বন্যায় ভেসে গিয়েছে!” যোগ করেন, “উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার।”

    সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হিমাচলের নদীতে প্রচুর পরিমাণে তক্তা ভাসতে দেখা গিয়েছে। আদালত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে এই সমস্যার সমাধানে নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সরকারকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে হবে। শুনানি চলাকালীন সলিসিটর জেনারেল মন্তব্য করেন, “দুর্ভাগ্যবশত, আমরা প্রকৃতির সঙ্গে বড্ড বেশি অন্য়ায় করে ফেলেছি, এখন পালটা আঘাত আসছে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)