গোবিন্দ রায়: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিরোধিতায় ধরনায় বসার আর্জি। কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ প্রাক্তন সেনারা। ৮ সেপ্টেম্বর ধরনায় বসতে চেয়ে মামলার আর্জি জানান তাঁরা। মিলেছে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের অনুমতি। আগামী সোমবার শুনানির সম্ভাবনা। যদিও এই আর্জির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কারও প্রতি কোনও অশ্রদ্ধা দেখাননি।”
ভিনরাজ্যে বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি সন্দেহে অত্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শনি এবং রবিবার-সপ্তাহে দু’দিন করে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে রিলে অবস্থান করছিলেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। সেখানেই তৈরি করা হয়েছিল ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ। গত সোমবার আচমকা সেনাবাহিনীর জওয়ানরা মেয়ো রোডে পৌঁছয়। সভামঞ্চে খুলে ফেলে সেনা। ছুড়ে ফেলা হয় ত্রিপল। খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই সেনাকে বন্ধু বলে সম্বোধন করেন মমতা। বলেন, “আমি যখন এখানে আসছিলাম, তখন প্রায় ২০০ জন আর্মি (সেনা) আমায় দেখে ছুটে পালাচ্ছিল। আমি বললাম যে, আপনারা কেন দৌড়ে পালাচ্ছেন? আপনারা আমার বন্ধু। ওদের পোশাককে সম্মান করি। সেনাবাহিনীর দোষ নেই।” এরপরই আক্ষেপের সুরে বলেন, “সেনা বাহিনিও বাদ গেল না….! বিজেপির কথায় এই কাজ করেছে।” এজেন্সি প্রসঙ্গেও সরব হন মমতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিবাদে মেয়ো রোডে ধরনায় আর্জি নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন সেনারা। আগামী সোমবার ৮ সেপ্টেম্বর ধরনায় বসতে চান প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা। আগামী সোমবার শুনানির সম্ভাবনা। এপ্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা সেনার অনুমতি নিয়েই ধরনায় বসেছিলাম। আমাদের ডেকোরেটরদের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। তা না করে প্যান্ডেল খোলার জন্য সেনা নামিয়ে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কারও প্রতি কোনও অশ্রদ্ধা দেখাননি। হতে পারে ওঁরা কারও ইন্ধনে এসব করছে।”