• বাড়ছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট-এর শয্যার সংখ্যা, নতুনভাবে সেজে উঠছে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ...
    আজকাল | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: নতুনভাবে সেজে উঠছে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল। জটিল রোগের চিকিৎসায় এবার হাসপাতালে বাড়তে চলেছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট-এর শয্যার সংখ্যা। জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ সুব্রত মণ্ডল। সেইসঙ্গে রোগ পরীক্ষার জন্য আনা হচ্ছে অত্যাধুনিক নানা যন্ত্রপাতি। 

    শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগণা জেলার জন্যই নয়। বারাসতের এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল আশেপাশের বেশ কয়েকটি জেলা। এতদিন এই হাসপাতালটি জেলা হাসপাতাল হিসেবে কাজ করলেও যেদিন থেকে এই হাসপাতালে মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলার পরিকল্পনা হয় তারপর থেকেই গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। সেই হিসেবে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা বাড়ানো, পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি-সহ একাধিক প্রয়োজনীয় জিনিস হাসপাতালে আনা হয়। সুপারের কথায়, জেলার প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ বাসিন্দা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং নদীয়া থেকেও প্রতিদিন হাসপাতালে রোগীরা আসেন। হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, সুপার নিজে কোনো ছুটি নেন না বললেই চলে। সপ্তাহের সাতদিন তিনি অফিস করেন। 

    নবরূপে এই হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। যার মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট বা সিসিইউতে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো। সুপার জানিয়েছেন, 'এই ইউনিটে আগে শয্যা ছিল ১২টি। পরে সেটা ২৬ করা হয়‌। আরও ৫০টি শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। রোগী স্বার্থের কথা ভেবেই রাজ্যের তরফে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।' হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, এই হাসপাতালের লক্ষ্য হল রেফার-এর সংখ্যা যতটা সম্ভব কম করে করা। উদাহরণ দিতে গিয়ে ওই সূত্রটি জানায়, এরকম বহু উদাহরণ আছে হার্টের গুরুতর সমস্যা নিয়ে আসার পর ওই রোগীকে হাসপাতালের তরফেই জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন দিয়ে বাঁচিয়ে পরে প্রয়োজনীয় অপারেশন এখানেই করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে বাজারে ওই জীবনদায়ী ইঞ্জেকশনের দাম প্রায় ৫০ হাজার টাকার কাছাকাছি। এই রোগীকে যদি কলকাতায় রেফার করা হত তবে হয়ত রাস্তার মাঝেই তাঁর বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারত। 

    সুপারের কথায়, 'রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য প্রভূত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জেলাস্তরে যে সরকারি হাসপাতালে আধুনিক ও উন্নত মানের চিকিৎসা করা সম্ভব সেটা এই সরকার করে দেখিয়ে দিয়েছে। এই হাসপাতালে আমাদের সকলেই ২৪ ঘন্টা কাজ করছেন। আমাদের একটাই লক্ষ্য রোগীকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো। যদি কারুর কোনো সমস্যা হয় তবে বলতে চাইছি আমার দরজা কিন্তু সবসময় খোলা। নির্দিধায় আমার কাছে এসে যার যা সমস্যা সেটা বলতে পারেন।' 
  • Link to this news (আজকাল)