মিল্টন সেন, হুগলি: আবহাওয়ার দিকে নজর রেখে আসন্ন শারদ উৎসবে নিতে হবে বিশেষ সতর্কতা। বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া রূপালী আর্কাইভ-এ আয়োজিত দুর্গা পুজো নিয়ে আয়োজিত সমন্বয় বৈঠকে বার বার উঠে এলো সতর্কতার প্রসঙ্গ। একইসঙ্গে প্রত্যেক বারোয়ারি পুজো আয়োজকদের দেওয়া হল উৎসবকে সর্বাঙ্গীন সফল করে তোলার বার্তা।
আসন্ন শারদীয়া উৎসবকে সর্বাঙ্গীন সফল করে তুলতে চন্দননগর কমিশনারেটের অভিনব উদ্যোগ। বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া থানার উদ্যোগে শহরের একটি বেসরকারি লজে একটি সমন্বয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ডিসি চন্দননগর অলকনন্দা ভাওয়াল, বিধায়ক অসিত মজুমদার, হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়, বাঁশবেড়িয়া পূরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী, চুঁচুড়া থানার আই সি রামেশ্বর ওঝা, জেলা হাসপাতালের ডেপুটি সুপার, অগ্নিনির্বাপন দপ্তর, বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক, রেল পুলিশ এবং জি আর পি আধিকারিক এবং চুঁচুড়া শহরের তিন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভার সদস্যরা এবং চুঁচুড়া থানার অন্তর্গত অনুমোদিত ৩৬৩ টি দুর্গা পুজো কমিটির কর্মকর্তারা।
এদিন বৈঠকে ডিসি চন্দননগর বলেছেন, প্রত্যেক শান্তিপূর্ণভাবে পুজো করতে হবে। শান্তিপূর্ণ ভাবে পুজো পরিচালনা করার দায়িত্ব শুধু পুলিশ প্রশাসনের নয়। সকলকে প্রশাসনের অঙ্গ হিসেবে উৎসব পরিচালনার দায়িত্ত্ব নিতে হবে। বারোয়ারি পুজোর ক্ষেত্রে সব ধরনের সরকারি অনুমোদন নেওয়া অবশ্যই বাধ্যতামূলক।
বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেছেন, পুজোর কয়েকদিন পুলিশের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। কারণ সকলে উৎসবে আনন্দ করবে, পুলিশ কিন্তু সারাদিন ২৪ ঘন্টা ডিউটি করে যায়। হাজার হাজার মানুষ উৎসবে সামিল হয়। রাস্তায় ভিড় বারে। সেই ভিড় সামলাতে দিন রাত ট্রাফিক পুলিশ ব্যস্ত থাকে। কোনও ঘটনা ঘটলে সেটাকে বাড়ালে চলবে না। চেষ্টা করতে হবে ছোট ছোট ঘটনা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে ফেলার।
বিগত পুজোর কিছু খারাপ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে মানুষকে সতর্ক হওয়ার আবেদন করেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মানদাতা সাউ। একইসঙ্গে পার্কিং এবং জোরে বাইক চালানো ইত্যাদি সম্পর্কেও সতর্ক করেন।