আজকাল ওয়েবডেস্ক: নার্সদের আত্মত্যাগ, সহানুভূতি এবং রোগীর প্রতি নিবেদনকে সম্মান জানাতে কৃষ্টি এবং এনএসএইচএম নলেজ ক্যাম্পাস দুর্গাপুরের ইনস্টিটিউট অফ নার্সিং-এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল এক অনন্য সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানটি প্রতিবছর পালিত হবে আধুনিক নার্সিং-এর জননী ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের স্মৃতিতে। তিনি সাহস, করুণা ও মানবিকতার প্রতীক হিসেবে সারা বিশ্বের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অনুষ্ঠান নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এক আন্তরিক প্রচেষ্টা। চিকিৎসা পরিষেবার মেরুদণ্ড হলেন নার্সরা, যাঁরা নিরলস সেবার মাধ্যমে রোগীর আরোগ্যে সহায়তা করেন এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে মহামারির মতো সময়ে নার্সদের আত্মত্যাগ সমাজের কাছে এক দৃষ্টান্ত। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য সম্মানিত করা হয় একাধিক বিশিষ্ট নার্সকে—
ক্রিটিক্যাল কেয়ার, একাডেমিক ও গবেষণা – মিস সৌমিতা তেওয়ারি
প্রধান অতিথি ও উপস্থিত ছিলেন নানা গণ্যমান্য ব্যক্তি। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ড. সুকুমার মুখার্জি। তাঁর অনন্য চিকিৎসা পরিষেবা, রোগীসেবায় অবিচল নিষ্ঠা ও অসাধারণ পেশাগত সাফল্য আগামী প্রজন্মের কাছে দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন—
মি. দিলীপ সিং মেহতা – চেয়ারম্যান, মাল্টিকন গ্রুপ
বিধায়ক দেবাশিস কুমার
সুব্রত দত্ত – ম্যানেজিং ডিরেক্টর, জর্জ টেলিগ্রাফ গ্রুপ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট, বেঙ্গল বিজনেস কাউন্সিল
প্রফেসর নন্দিনী ভৌমিক – সংস্কৃত বিশারদ, নাট্যব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ
নন্দিনী ভট্টাচার্য – পুরুষ অধিকারের কর্মী ও অল বেঙ্গল মেনস ফোরামের সভাপতি
আইপিএস শান্তি দাস – অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কারা দপ্তরে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত)
কে. আর. শ্রীরম – কোষাধ্যক্ষ, ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাব
ঋষ্মি চ্যাটার্জি – উদ্যোক্তা ও কিউরেটর, ক্রিশ্টি (এবং অনুষ্ঠানের সঞ্চালক)
এই অনুষ্ঠানের সহযোগী সংস্থা হিসেবে ছিল –
এনএসএইচএম নলেজ ক্যাম্পাস, ইনস্টিটিউট অফ নার্সিং দুর্গাপুর
গবেষণা সহযোগী – হ্যালো হেরিটেজ
ভেন্যু সহযোগী – ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাব
গিফট পার্টনারস – মানব ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, লাভ দ্য নেচার ও পরিবেশ ফাউন্ডেশন
এই ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল স্মৃতি সম্মাননা শুধুমাত্র এক দিনের অনুষ্ঠান নয়, বরং নার্সদের পরিশ্রম ও আত্মত্যাগকে স্মরণে রাখার এক চিরন্তন অঙ্গীকার। আয়োজকদের আশা, প্রতিবছর এই সম্মাননার মাধ্যমে নার্সিং পেশার গুরুত্ব সমাজে আরও গভীরভাবে প্রতিফলিত হবে।