গোবিন্দ রায়: চিংড়িহাটায় মেট্রো প্রকল্পের জট কাটাতে সব পক্ষকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই শুরু হয়েছে কাজ। মেট্রো, আরভিএনএল, পরিবহন দপ্তর, পুলিশ, কলকাতা পুরসভা এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিনিধি হিসেবে কারা এই বৈঠকে থাকবেন তাদের নাম হাই কোর্টের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার।
বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, “ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে বৈঠকে বসুন।” আদালতের তরফে, এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধানের লক্ষ্য রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। আদালত তার নির্দেশে জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার পার্ক স্ট্রিটের মেট্রো ভবনে বেলা আড়াইটের সময় এই বৈঠক হবে। “আদালত আশা করে বৃহত্তর স্বার্থের দিকে তাকিয়ে সবপক্ষ এই বৈঠকে সমাধানের রাস্তা বের করবে।” আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেখানে আসন্ন বৈঠকের রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
বুধবার চিংরিহাটা মেট্রোর জট সংক্রান্ত মামলায় জনস্বার্থে আলোচনার পরামর্শ দেয় আদালত। আদালতে আরভিএনএল-এর তরফে জানানো হয়েছে, “শুক্রবার সন্ধে সাতটা থেকে শনিবার সকাল সাতটা, শনিবার সন্ধে থেকে রবিবার সকাল এবং রবিবার সন্ধে থেকে সোমবার সকাল, এই ভাবে দুই সপ্তাহ কাজ করলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।” নিউ গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মেট্রোর অরেঞ্জ লাইন চালুর কাজ বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। চিংড়িহাটায় রোজ হওয়া যানজটকেই এর জন্য দায়ী করা হয়েছে। রেল বিকাশ নিগমের অভিযোগ ছিল, চিংড়িহাটায় ৩৬৬ মিটারের সংযোগের অভাবে এই মেট্রোপথ চালু করা যাচ্ছে না। অথচ এই মেট্রোপথ চালু হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় এসে উদ্বোধন করেছেন মেট্রোর নতুন রুটের। বেড়েছে যাত্রীর সংখ্যা। কিন্তু এরপরেও কমছে না ভোগান্তি। আদালতের নির্দেশের পরে সব সমস্যা কাটিয়ে শুরু হবে চিংরিহাটা মেট্রোর কাজ? শেষ হবে যাত্রীদের ভোগান্তি? এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতেই আসন্ন বৈঠকের দিকে তাকিয়ে কলকাতাবাসী।