নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) মামলায় নতুন করে আর কোনও সুরাহা মিলবে না। সে আবেদনকারী বিশেষভাবে সক্ষমই হোন কিংবা অন্য কেউ। বৃহস্পতিবার এবিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি অলোক আরাধের বেঞ্চে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কয়েকটি মামলার শুনানি ছিল। এর মধ্যে মূল আবেদনটি ছিল, বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদনের সময়সীমা বাড়ানোর। পাশাপাশি বয়সের ছাড়ও। কিন্তু এদিন পর্যবেক্ষণে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘বিশেষভাবে সক্ষম হলেও আর নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা তারিখ বাড়ানোর নির্দেশ দিতে পারি না। গত ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসার আবেদনের সময় ছিল। ফলে তার মধ্যে যারা আবেদন করেছেন, তারা পরীক্ষায় বসবেন। এক-দু’জনের জন্য মোটেই নতুন নিয়ম হতে পারে না। তাছাড়া যোগ্য শিক্ষকদের জন্য পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে বয়স এবং যোগ্যতামানে ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফলে আর বাড়তি কারও জন্য কিছু নয়।’ এরপরেই আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
শুধু তা-ই নয়, এদিন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও ফের ভৎর্সনা করেছেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার। আদালতে উপস্থিত রাজ্যের আইনজীবী প্রীতিকা দ্বিবেদীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবে অবাক হচ্ছি কী করে রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টে অযোগ্য প্রার্থীদের হয়ে আবেদন করতে পারে? ইটস শকিং! আপনারা রাজ্যের মেধাবী পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছেন। তারপর আবার অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও নয়নের মণিদের পিছনের দরজা দিয়ে ঢোকাতে চাইছেন? রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল হাইকোর্টে কী করে সওয়াল করলেন যে, অযোগ্যরা পরীক্ষায় বসতে পারবে না একথা স্পষ্ট বলেনি সুপ্রিম কোর্ট। এই আপনাদের রায় বোঝার ধরন? আমাদের মূল রায়ের প্রতিলিপি সংরক্ষণ করে রাখুন। মাঝে মাঝে পড়ে দেখুন। বুঝতে পারবেন কী বলেছে সুপ্রিম কোর্ট!’ বিচারপতি কুমার এদিন আবারও সতর্ক করেছেন রাজ্য সরকারকে—‘একজনও অযোগ্য যেন পরীক্ষায় না বসে!’