• মণিপুরে কুকি-জো সংগঠনের সঙ্গে চুক্তি করল কেন্দ্র- রাজ্য, ২ বছর পর ফের খুলল জাতীয় সড়ক
    বর্তমান | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • বিশেষ সংবাদদাতা, ইম্ফল: হিংসাদীর্ণ মণিপুর সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আপাতত এই খবর ঘিরেই আলোচনা তুঙ্গে। মোদির আগেই এল বড়সড় স্বস্তির খবর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, মণিপুর সরকারের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করল কুকি-জো গোষ্ঠী। এই চুক্তি মেনে জাতীয় সড়ক এনএইচ-২ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুকিরা। গত ২০২৩ সালের মে মাস থেকে চলতে থাকা দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তির স্থায়ী সমাধানের ক্ষেত্রে যা অত্যন্ত বড় পদক্ষেপ বলে মত রাজনৈতিক তথ্যাভিজ্ঞ মহলের।

    মণিপুরে হিংসা শুরুর পর থেকেই বন্ধ ছিল এনএইচ-২। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এই জাতীয় সড়ক। এই সড়ক খোলার ফলে যাত্রী চলাচল থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহে আর কোনও বাধা থাকবে না। রাজ্যে শান্তিরক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছে কুকি-জো কাউন্সিল। জানা গিয়েছে, এই চুক্তি মোতাবেক সংঘাতপ্রবণ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সাতটি নির্দিষ্ট জঙ্গি শিবির স্থানান্তরের বিষয়ে সম্মত হয়েছে কুকি গোষ্ঠীগুলি। নিকটতম সিআরপি এবং বিএসএফ ক্যাম্পে অস্ত্র স্থানান্তর করার বিষয়েও সম্মতি জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ত্রিপাক্ষিক এই সাসপেনশন অফ অপারেশন (এসওও) চুক্তি আগামী এক বছরের জন্য কার্যকর হবে। একটি যৌথ পর্যবেক্ষণ কমিটি এই নিয়মগুলি কঠোরভাবে মেনে চলার উপর নজর রাখবে। মন্ত্রক জানিয়েছে, যারা এই চুক্তি লঙ্ঘন করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মণিপুরবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন ইনার মণিপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ আঙ্গোমচা বিমল আকইজাম। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, গত বছর থেকে চলা জাতিগত হিংসার ফলে সাধারণ মানুষ যে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন, তার দায় স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর।
  • Link to this news (বর্তমান)