দেগঙ্গায় ইট রাখা নিয়ে অন্তঃসত্ত্বাকে মার, সম্পত্তি বিবাদে ছেলের হাতে আক্রান্ত বাবা
বর্তমান | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বৃহস্পতিবার সকালে দেগঙ্গার দুই পৃথক গ্রামে মারধরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। দু’টি ক্ষেত্রেই অভিযুক্তদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্তরা। পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা মুদিপাড়ার বাসিন্দা সরিফুদ্দিন মুদির দুই ছেলে। ছোট ছেলে এনামুল মুদির সঙ্গে সরিফুদ্দিনের সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল। অভিযোগ, বাবাকে দিয়ে জোর করে সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল এনামুল। একারণে তাঁর উপর নানাভাবে চাপ দিচ্ছিল সে। এদিন সকালে বাবার সঙ্গে গণ্ডগোল হয় এনামুলের। তারপর সে বাবাকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত সরিফুদ্দিন বলেন, সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় ছোট ছেলে আমাকে কাদায় ফেলে মারধর করে। এমনকী, আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা করে। ওর নামে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। ঘটনার পর থেকে এনামুল পলাতক।
অন্যদিকে, ইট রাখা নিয়ে বচসার জেরে প্রতিবেশীদের হাতে আক্রান্ত হলেন এক অন্তঃসত্ত্বা সহ চারজন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার আমুলিয়ায়। আক্রান্ত আবদুল ফজলু মণ্ডলের অভিযোগ, আমি নিজের জমিতে ইট রেখেছিলাম। কিন্তু পড়শিরা তাতে বাধা দেয়। প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করা হয়। ছেলে, স্ত্রী ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে আমাকে বাঁচাতে এলে তাঁদেরও মারধর করে অভিযুক্তরা। মেয়ে এখন আটমাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার পেটে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুসি মারা হয়। আক্রান্ত চারজনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় বিশ্বনাথপুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে। চারজনের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা। -নিজস্ব চিত্র