ধর্ষিতার মৃত্যু, গোপন জবানবন্দি ও মেডিক্যাল রিপোর্টেই দোষী সাব্যস্ত, কাল সাজা ঘোষণা
বর্তমান | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিচার চলাকালীন মারা যান ধর্ষিতা। ওই গৃহবধূ কলকাতার সার্ভে পার্ক থানা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনার পর তাঁর গোপন জবানবন্দির নথি, মেডিক্যাল ও ফরেন্সিক রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। ২০১৫ সালে ঘটনাটি ঘটেছিল। প্রায় ১০ বছর পর বৃহস্পতিবার আলিপুরের জেলা আদালত পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান প্রদোষ সুর ওরফে বিক্রম নামের ওই যুবককে ধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে। আগামী শনিবার তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করবে আদালত।
এই মামলার সরকারি আইনজীবী নীতা বোস দে জানান, ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল বিকেলে অভিযোগকারিণীর ফ্ল্যাটে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সারাতে আসে বিক্রম। ঘরে তখন গৃহবধূ ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। সে ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। সেই সময় অসুস্থ গৃহবধূকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় বিক্রম। নির্যাতিতা বধূ ১০০ ডায়ালে ফোন করলে পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। খবর পাঠানো হয় তাঁর স্বামী ও ছেলেকে। পরে থানায় ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস ইলেকট্রিশিয়ানকে গ্রেপ্তার করে। গৃহবধূ বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি পেশ করেন। পাশাপাশি তাঁর মেডিক্যাল ও ফরেন্সিক পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়। আলিপুর আদালতে মূল মামলার বিচার চলাকালীন ৪৯ বছরের ওই গৃহবধূ মারা যান। তাঁর সাক্ষ্য অসমাপ্ত থাকে। কিন্তু দশজন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য দেন চিকিৎসক, ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ছাড়াও যাঁর উপস্থিতিতে ওই গৃহবধূ গোপন জবানবন্দি দিয়েছিলেন, সেই বিচারক। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জামিনে ছিল। এদিন বিচারক তাকে দোষী সাব্যস্ত করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। যদিও আদালতে ওই যুবক বারে বারে বলে, তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিষয়টি বিবেচনা করে তাকে সংশ্লিষ্ট মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।