নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ফের দুর্ঘটনা নিউটাউনে। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববাংলা গেটের সামনে সরকারি বাসের ধাক্কায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল এক আইটি কর্মীর। তিনি স্কুটারে চেপে অফিসে যাচ্ছিলেন। পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম বনশ্রী পাল কুণ্ডু (৪০)। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়া শহরের নতুনচটি। তবে, কর্মসূত্রে তিনি নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া-২ এলাকায় স্বামী-সন্তানের সঙ্গে থাকতেন। স্বামীও আইটি কর্মী। ঘটনার পর পুলিস বাসটি আটক করেছে। এই ঘটনায় তাঁর পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে, মাত্র একদিনের ব্যবধানে বিশ্ববাংলা গেট সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যুতে শোরগোল শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাসের বেপরোয়া গতির জন্যই এই দুর্ঘটনা। আইটি কর্মী প্রায় ১৭ বছর ধরে নিউটাউন এলাকায় বসবাস করছেন। পরিবারের কথায়, দক্ষতার সঙ্গে অত্যন্ত সচেতনভাবেই তিনি স্কুটার চালাতেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে নিউটাউনে রাস্তা পার হতে গিয়ে বাইকের ধাক্কায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে সুবীর চক্রবর্তী নামে এক বৃদ্ধের। বিশ্ববাংলা গেট থেকে বলাকার দিকে যাওয়ার মূল রাস্তার উপর ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এদিন ঠিক তার উল্টোদিকের বিশ্ববাংলা সরণির উপর এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বিশ্ববাংলা গেট থেকে মাত্র ৫০ মিটার আগে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এয়ারপোর্টের দিক থেকে বিশ্ববাংলা গেটে আসার ঠিক আগে একটি ইউ-টার্ন রয়েছে। আইটি কর্মী স্কুটারে করে বিশ্ববাংলা সরণি ধরে বিশ্ববাংলা গেটের দিকে আসছিলেন। গেটের আগে ইউ-টার্ন নিয়ে তিনি ডানদিকে ঘুরে এয়ারপোর্ট লেনে উঠতে যান। সেই সময় একটি সরকারি ইলেকট্রিক বাস পিছন থেকে তাঁর স্কুটারে সজোরে ধাক্কা দেয়। তাতে রাস্তার উপর আছড়ে পড়েন তিনি। দুর্ঘটনার পর বাসটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ফলে, সামনের চাকায় তিনি পিষ্ট হয়ে যান। সামনেই ট্রাফিকগার্ডের অফিস। সঙ্গে সঙ্গে পুলিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা বনশ্রীদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাসটি একটি চার্জিং স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিশ্ববাংলা গেটের সামনে ওই ইউ-টার্নের কাছে পুলিস সব সময় নিয়ন্ত্রণ করে না। গাড়ি-বাইক নিজে থেকেই সিগন্যাল দেখে ইউ-টার্ন নেয়। যেহেতু, বিশ্ববাংলা গেটের সামনে আরও তিনদিকে যাওয়ার সিগন্যাল রয়েছে, তাই ওই ইউ-টার্নটি বিপজ্জনক। পুলিস জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।