কেবিসির নামে টোপ, ২৫ লক্ষের পুরস্কারের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত
বর্তমান | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল। ‘কওন বনেগা ক্রোড়পতি’তে (কেবিসি) নাকি ২৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি! ফেসবুক থেকে নাকি লাকি ড্র’তে তিনি এই পুরস্কার জিতেছেন। ২৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার মূল্য নেওয়ার ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন এয়ারপোর্ট থানা এলাকার এক বাসিন্দা। রেজিস্ট্রেশন, নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে প্রতারকরা তাঁর কাছ থেকে ওই টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু, পুরস্কার মূল্যের কানাকড়িও জোটেনি। তখন তিনি বুঝতে পারেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তারপরই প্রতারিত মহিলা বুধবার এয়ারপোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার কাছে গত ২৯ আগস্ট হোয়াটসঅ্যাপে আচমকা একটি ভিডিওকল আসে। তাঁকে বলা হয়, ফেসবুক থেকে কেবিসি কর্তৃপক্ষ একটি লটারি করেছিল। তাতে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নির্বাচিত হওয়ায় তিনি ২৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার জিতেছেন। ওই টাকা নেওয়ার জন্য তাঁকে বলা হয়, দ্রুত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ছবি সহ বিভিন্ন নথিপত্র পাঠান। তিনি আনন্দে সেইমতো পাঠিয়েও দেন। এরপর আবার ফোন করে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশন বাবদ এক হাজার টাকা পাঠাতে হবে এবং নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) বাবদ ৩৯০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। ওই মহিলা সেই টাকাও দিয়ে দেন। এরপর তাঁর কাছে আরও বেশ কয়েকবার ফোন আসে। কেবিসি কর্তৃপক্ষের এক অফিসার পরিচয় দিয়ে এক প্রতারক তাঁকে ফোন করে আরও কয়েকটি জায়গায় পেমেন্ট করতে বলেন। প্রতারিতের কথায়, সব মিলিয়ে তিনি ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৯০০ টাকা পেমেন্ট করেছেন। কিন্তু, তারপর টাকা চাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে থাকায় বুঝতে পারেন, প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন। শেষমেশ পুলিসের দ্বারস্থ হন তিনি।
এক পুলিস আধিকারিক বলেন, কেবিসির নাম করে প্রতারণা নতুন নয়। এর আগেও ঘটেছে। মনে রাখতে হবে, কোনও কিছু না করে বাড়িতে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা পুরস্কার পাওয়া যায় না। এই ধরনের প্রসঙ্গ এলে সতর্ক হতে হবে। সব দিক বিচার করেই পদক্ষেপ করতে হবে। তা না হলেই ফের পড়তে হবে সাইবার প্রতারণায়।