পথে নজর রাখতে ট্র্যাফিক পুলিশের গাড়িতে বসবে ড্যাশ ক্যামেরা
আনন্দবাজার | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
টহলদারির সময়ে রাস্তাঘাটে নজর রাখতে এ বার ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকদের গাড়ির সামনে ড্যাশ ক্যামেরা (ছোট ক্যামেরা, যা গাড়ির উইন্ডশিল্ডে বসানো থাকে) বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্র্যাফিক পুলিশের ডিসি, এসি এবং বিভিন্ন গার্ডের ওসিদের মতো আধিকারিকদের গাড়িতে ওই ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। বুধবার থেকে ধাপে ধাপে ওই ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ট্র্যাফিক পুলিশের বিভিন্ন গার্ডের ইনস্পেক্টর, সহকারী নগরপালদের গাড়িতে ওই ক্যামেরা বসানো হয়ে যাবে বলে মনে করছেন ট্র্যাফিক পুলিশকর্তারা। উল্লেখ্য, বছর দশেক আগে কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানায় ওসিদের লাল গাড়িতে ওই ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। কিন্তু পরে তা খুলে ফেলা হয়।
লালবাজার জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি এবং এসি-রা দিনভর নিজেদের এলাকায় ঘুরে যান চলাচলের উপরে নজর রাখেন। তাই ওই ক্যামেরা গাড়িতে বসলে এক দিকে যেমন তাঁদের চলার পথে এলাকার সব ঘটনা রেকর্ড হয়ে থাকবে, তেমনই ওইক্যামেরায় কোনও ওসি বা এসি নিজের এলাকায় টহলদারি করছেন কিনা, তা-ও জানতে পারবেন লালবাজারের বড় কর্তারা।
সূত্রের দাবি, মূলত টহলদারির সময়ে ওই ক্যামেরা চালু রাখতে বলা হয়েছে। তবে, প্রতিদিন আধিকারিক ডিউটিতে যোগ দেওয়ার আগে গাড়ির ক্যামেরার মেমরি ডিস্কে জায়গা আছে কিনা এবং ক্যামেরার ঘড়ি ঠিক মতো কাজ করছে কিনা, তা দেখে নিতে বলা হয়েছে। রেকর্ড করা ভিডিয়ো ফুটেজ সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। কত দিন ওই ছবি সংরক্ষণ করা হবে, তা এখনও ঠিক না হলেও বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডের ওসিরা প্রতিদিনের কাজের শেষে ক্যামেরার মেমরি কার্ড থেকে ভিডিয়ো ফুটেজ ট্র্যাফিক গার্ড বা নির্দিষ্ট দফতরের হার্ড ডিস্কে সেভ করে রাখছেন।
এক পুলিশকর্তা জানান, বর্তমানে বিএনএসএস চালু হওয়ার পরে সব কিছুরই ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে রাখতে বলা হয়েছে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে গাড়িতে বসানো ওই ক্যামেরা ভিডিয়ো তোলার কাজটাই করবে। কারণ হিসাবে পুলিশকর্তা জানাচ্ছেন, সাধারণত ট্র্যাফিক পুলিশ আধিকারিকেরা যে কোনও ঘটনায় সকলের আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তাই তাঁদের গাড়ির ক্যামেরা চালু থাকলে সেই সময়ের সমস্ত ঘটনা তাতে রেকর্ড হয়ে যাবে। যা পরে তদন্তের কাজে লাগবে। এ ছাড়া, রাস্তায় টহলদারির পথে প্রায়ই ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গকারীদের দেখতে পান ট্র্যাফিক আধিকারিকেরা। কিন্তু চলন্ত গাড়ি থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে অনেক সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এ বার ওসি এবং এসির গাড়ির ড্যাশ ক্যামেরায় ট্র্যাফিক আইন অমান্যকারীর গাড়ির তথ্য রেকর্ড হয়ে যাবে। যা দেখে পরে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা পুলিশ দেহ ক্যামেরা ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছে। সে বারও প্রথম ট্র্যাফিক পুলিশকর্তারাই তা ব্যবহার করেন।