জয়রামবাটি-কামারপুকুর উন্নয়ন পর্ষদ গঠনে সিলমোহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা, আগামী বছর ভোটের দিকে তাকিয়ে কি সিদ্ধান্ত!
আনন্দবাজার | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
হুগলির উন্নয়নে রাজ্য সরকারের নতুন পদক্ষেপ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আলোচনা। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত হয়েছে জয়রামবাটি-কামারপুকুর উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত। এর ফলে হুগলি জেলায় তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের পর আরও একটি নতুন উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি হতে চলেছে। প্রশাসনিক মহল জানিয়েছে, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই ধরনের একটি বিশেষ পর্ষদের। ফলে পর্যটন, পরিকাঠামো ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে নতুন দিশা মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এবং সারদা দেবীর স্মৃতিবিজড়িত এই স্থান দু’টি বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ।
তবে শুধুমাত্র উন্নয়ন নয়, এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রাজনৈতিক অঙ্কও স্পষ্ট। কারণ, জয়রামবাটি-কামারপুকুর অঞ্চল আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ওই এলাকার একাধিক বিধানসভা আসনগুলিতে বর্তমানে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা তৃণমূলের তুলনায় বেশি। ফলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই রাজ্য সরকার এই উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাতে চাইছে বলে মনে করছেন অনেকে। মূলত উন্নয়নের মাধ্যমে ওই এলাকায় বিজেপির সাংগঠনিক শক্তিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চাইছে তৃণমূল।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ আরামবাগ কেন্দ্রে জয়ী হলেও বিধানসভায় বিজেপির শক্তি এখনও যথেষ্ট বলেই উদ্বেগ রয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। তাই উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে তৃণমূল ওই অঞ্চলে জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে চাইছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত এই পর্ষদ এলাকাবাসীর প্রত্যাশা পূরণে সফল হবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে আপাতত এই সিদ্ধান্ত ঘিরে উন্নয়ন ও রাজনীতির সমান্তরাল অঙ্ক সমানতালে এগোচ্ছে।