৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিউ টাউনে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। গত মঙ্গলবার রাতের পরে বৃহস্পতিবার বেলার দিকে বিশ্ব বাংলা গেটের কাছে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা স্কুটারচালকের। মৃতার নাম বনশ্রী কুণ্ডু পাল (৪০)।
পুলিশ সূত্রের খবর, বনশ্রী এ দিন স্কুটার চালিয়ে যাত্রাগাছির দিক থেকে এসে বিশ্ব বাংলা গেটের আগের সিগন্যাল থেকে বিমানবন্দরমুখী লেনে ইউ-টার্ন নেন। সেই সময়ে বিশ্ব বাংলা গেটের সিগন্যাল খুলে যাওয়ায় ওই লেন ধরে যাচ্ছিল একটি সরকারি বাস। স্কুটারটি হঠাৎ সামনে চলে আসায় বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি বলেই প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। বাসটি সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে স্কুটারে। ছিটকে পড়েন ওই মহিলা। এর পরে বাসটি তাঁকে পিষে দেয়। খবর পেয়ে নিউ টাউন থানার পুলিশ ও ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর জখম বনশ্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বনশ্রী আদতে বাঁকুড়ার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে বহু দিন ধরেই নিউ টাউনে থাকছিলেন। চাকরি করতেন নিউ টাউনের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায়। প্রতিদিনের মতো এ দিনও স্কুটার চালিয়ে অফিসে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রের খবর, বনশ্রীর মাথায় হেলমেট ছিল। সিগন্যাল খোলার পরেই বাসটি খুব দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। সেই সময়ে বনশ্রীর স্কুটার হঠাৎ ইউ-টার্ন নিয়ে সামনে এসে পড়ায় বাসচালক গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি বলেই তাঁদের অনুমান।
এলাকার লোকজন জানালেন, বিশ্ব বাংলা গেটের কাছে ওই কাট-আউট দিয়ে অনেকেই ইউ-টার্ন নিয়ে রাস্তা পার করেন কিংবা বিমানবন্দরের দিকে চলে যান। আবার বিশ্ব বাংলা গেটের দিকের সিগন্যাল খোলা থাকলে অসংখ্য যানবাহন বিমানবন্দর অভিমুখে যায়। ফলে, কোনও ভাবে অসতর্ক হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। তাঁদের মতে, ওই রাস্তায় দুর্ঘটনা এড়াতে গতি নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তাদের বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই নিউ টাউনে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে রাস্তা পেরোতে গিয়ে মোটরবাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় স্থানীয় বাসিন্দা এক বৃদ্ধের। ওই ঘটনার পরে রাস্তা পারাপারের ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, কী ভাবে পর পর দুর্ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।