অলৌকিক! ১১ ফুট গভীর গর্তে যাত্রী সহ গাড়ি হুড়মুড়িয়ে পড়ে, তবু সবাই বেঁচে ফেরে, কীভাবে? জানুন...
আজকাল | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। সাহারানপুরে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এক পরিবার। বড় কোনও বিপদ থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় পরিবারটি। খবর অনুযায়ী, তারা যাত্রীবাহী একটি গাড়িতে করে ফিরছিল। এমন সময় গাড়িটি আচমকা ১১ ফুট গভীর একটি গর্তে পড়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাত প্রায় ১টার দিকে। জানা গিয়েছে, এই গর্তটি একটি পৌরসভার ঠিকাদার কর্তৃক খনন করা হয়েছিল।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে জুখেদি গ্রামের বাসিন্দা বিরেন্দ্র তাঁর অসুস্থ মাকে চিকিৎসার জন্য গঙ্গোহ নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী, সন্তান, ও ভাই। রাস্তায় অন্ধকার ছিল। একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন ও আলোহীন পথ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই তাঁদের গাড়িটি রাস্তার ঠিক মাঝখানে খোঁড়া একটি গভীর গর্তে পড়ে যায়।
অবিশ্বাস্য হলেও এ কথা সত্য, গাড়িতে থাকা প্রত্যেকে প্রাণে রক্ষা পান। এমনকী গুরুতর কোনও আঘাত পাননি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় পরিবারটি গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে এবং বিরেন্দ্রর মাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খবর মারফত জানা গিয়েছে, স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে প্রথমে গর্তটি একটি বোরিং প্রকল্পের অংশ হিসেবে খনন করা হয়েছিল। তবে সেটিকে ঘিরে কোনও সতর্কতা চিহ্ন বা ব্যারিকেড দেওয়া হয়নি। এমন চরম অবহেলা যে কোনও সময় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হতে পারত বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে তাঁরা বলেন, এক বড় দুর্ঘটনা থেকে মাত্র অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া গেছে। পাশাপাশি তারা এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। স্থানীয়দের মতে, এ ধরণের নিরাপত্তাহীন অবস্থা যেকোনও মুহূর্তে একটি বড় ধরণের ট্র্যাজেডির জন্ম দিতে পারে।
পরবর্তীতে সকালে একটি বুলডোজার ও ক্রেন এনে গর্ত থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। পুরো ঘটনা এলাকায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি করেছে। এর জেরে এলাকার সাধারণ মানুষ এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানাচ্ছেন।
অন্যদিকে আরেকটি অনুরূপ ঘটনা ঘটে উত্তর প্রদেশের লখনউ শহরের ঠাকুরগঞ্জ এলাকায়। সূত্রে জানা গিয়েছে একটি গাড়ি রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ড্রেনে পড়ে যায়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যিনি গাড়িটি চালাচ্ছিলেন সেই ব্যক্তি তখন গাড়ি চালাতে শেখার প্রক্রিয়ায় ছিলেন। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানও ছিলেন। পুলিশের মতে, চালনার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি ড্রেনে পড়ে যায়।
সৌভাগ্যবশত, এই দুর্ঘটনাতেও কেউ গুরুতর আহত হননি।তবে এহেন পরপর দুটি ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ঘটনার জেরে প্রশাসনের প্রতি আরও দায়িত্বশীল আচরণের দাবি জোরালোভাবে উঠেছে।