• কোচবিহারের রাস্তায় পড়ে পাকিস্তানের টাকা! জানাজানি হতেই ব্যাপক শোরগোল এলাকায়, আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা...
    আজকাল | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও সন্ত্রাস হামলার আগে লস্কর-ই-তইবার প্রক্সি গ্রুপ দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF) পাকিস্তান ও মালয়েশিয়া থেকে অর্থসাহায্য পাচ্ছিল। কিছুদিন আগেই এই তথ্য প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)। তারপরেই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায়। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের রাণিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের রাস্তার ওপর পাকিস্তানি মুদ্রা পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এলাকার এক দোকানদার প্রফুল্ল রায় মঙ্গলবার রাতে রাণিরহাট মার্কেটের কাছে ১০ ও ১০০ পাকিস্তানি রুপির দুটি নোট উদ্ধার করেন।

    প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন এগুলো ভারতীয় রুপি, কিন্তু কাছ থেকে ভাল করে দেখার পর অবাক হয়ে যান। নোটে ‘স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তান’ লেখা ছিল এবং উর্দু ভাষায় লেখা অন্যান্য তথ্যও ছিল বলে দাবি করেন তিনি। প্রফুল্ল রায় জানান, ‘রাতে ৮-৮:৩০টার দিকে দোকানে ফিরছিলাম। দোকানের সামনে রাস্তার ওপর দুটো নোট পড়ে থাকতে দেখি। এগুলো তুলেই দেখলাম, এগুলো আমাদের নয়, পাকিস্তানের টাকা। আমি বুঝতে পারছি না এগুলো কিভাবে এখানে এসেছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।’ এই ঘটনার খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

    স্থানীয়রা প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন, এই ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত, বিশেষত যেহেতু এলাকা বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে অবস্থিত। নোট উদ্ধারের পরেই কড়া নজর রাখা হচ্ছে চেঙ্গ্রাবাঁধা সীমান্ত শহরের কারেন্সি এক্সচেঞ্জ কাউন্টারে। জানা গিয়েছে, সেখানেই আদৌ পাকিস্তানি মুদ্রা বিনিময়ই করা হয় না। ফলে স্থানীয়রা স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তুলছেন, পাকিস্তানি নোটগুলি রাস্তার ওপর এল কীভাবে? এনআইএ জানিয়েছে, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করেছিল লস্কর-ই-তইবার প্রক্সি গ্রুপ দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। তদন্তে প্রকাশ পায়, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়া থেকে ‘হাওয়ালা’ মাধ্যমে দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে অর্থ পাঠানো হয়েছিল।

    যে অর্থ মূলত সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত কর্মকাণ্ড চালাতে ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রথমে দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট হামলার দায় স্বীকার করলেও পরে তা অস্বীকার করে। উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার পর ভারত অপারেশন সিঁদুর চালায়। কয়েক দিনের মধ্যেই ভারতীয় বাহিনী লক্ষ্য চূড়ান্ত করে এবং ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত একাধিক আক্রমণ চালায়। সীমান্ত অতিক্রম করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত প্রবেশ করে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের রাডার, রানওয়ে, জঙ্গি শিবির ও হ্যাঙ্গারে আঘাত হানে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এটি পাকিস্তানের ভেতরে ভারতের সবচেয়ে গভীর সামরিক অভিযান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ধারাবাহিক আঘাতের ফলে পাকিস্তান দ্রুত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হতে বাধ্য হয়।
  • Link to this news (আজকাল)