আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় রেলগাড়ির কামরায় নানা অদ্ভুত দৃশ্য দেখা যায়। কেউ গিটার বাজিয়ে গান গায়, কেউ বাজার থেকে কেনা সবজি ছড়িয়ে রাখে আসনের নিচে। তবে এবার এক বিহারী যাত্রী এমন কাণ্ড ঘটালেন, যা নেটিজেনদের হাসতে হাসতে কাত করে দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তি নিজেই নিজের আরামদায়ক ঘুমের ব্যবস্থা করতে ট্রেনের ভেতর নিয়ে এসেছেন একটি… কুলার!
ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়তেই ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম সব জায়গায় ঝড়ের মতো আলোচনা শুরু হয়। অনেকে অবাক হয়ে বলছেন, “এভাবেও কি সম্ভব!” আবার কেউ কেউ মজা করে লিখেছেন, “এই তো নন-এসি কামরাকে এভাবেই এসি বানাতে হয়।” ভিডিওতে দেখা যায়, ওই যাত্রী ট্রেনের কামরার ভেতরে আসনের পাশে কুলার বসিয়ে শুয়ে আরামে ঘুমোচ্ছেন। ভিড়ভাট্টার গরম কামরায় অন্যরা যখন ঘেমে নাকাল, তখন তিনি নিশ্চিন্তে ঠাণ্ডা হাওয়ায় ঘুম দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: তোমার এত সাহস', মহিলা আইপিএস-কে হুমকি উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের! অবৈধ মাটি খননের কাজ বন্ধ করার জের
নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া: এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন – “বাজি ধরে বলতে পারি, উনি টিকিটই কাটেননি।” আরেকজন লিখেছেন – “নন-এসি কামরাকে এসি বানানোর সেরা আইডিয়া।” কেউ মশকরা করে লিখেছেন – “পরের বার আমি ফ্রিজ নিয়ে উঠব।” আরেকজনের মন্তব্য – “ট্রেনে যে প্লাগ দেওয়া থাকে সেটা তো মোবাইল চার্জিংয়ের জন্য, কুলার চলল কীভাবে?”
সব মিলিয়ে মজার ঠাট্টা, রসিকতায় সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম। অনেকেই আবার বিষয়টিকে বিহারের যাত্রীদের বুদ্ধি ও কৌশল হিসেবে দেখছেন। একজন লিখেছেন – “এটাই তো আসল জুগাড় টেকনোলজি।”
তবে প্রশ্ন উঠছে নিয়ম নিয়ে। হাসি-ঠাট্টার পাশাপাশি অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, রেলের নিরাপত্তা ও নিয়মকানুন নিয়ে। সাধারণত যাত্রীদের ভারী বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ। কারণ এতে শর্ট সার্কিট বা দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। ফলে বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষের নজরে এলে ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন। তবে আপাতত এই কুলার-কাণ্ড মানুষের কাছে বিনোদনের খোরাক হয়ে উঠেছে। ভারতীয় রেল নিয়ে নানা অভিযোগ থাকলেও যাত্রীদের ‘সৃজনশীলতা’ আবারও প্রমাণ করল—গরমে ঠাণ্ডা হাওয়া পেতে মানুষ কী কী করতে পারে! বিহারের এই যাত্রীর ‘কুলার অভিযান’ নিঃসন্দেহে ২০২৫ সালের অন্যতম ভাইরাল ট্রেন কাণ্ড হয়ে থাকবে। রেলযাত্রার ঝক্কি-ঝামেলার মধ্যেও তিনি দেখিয়ে দিলেন—যেখানে ইচ্ছা, সেখানেই উপায়!