দোকান থেকে বন্দুক পাচারের অভিযোগ, গ্রেপ্তার কলকাতার লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রয় সংস্থার তিন মালিক...
আজকাল | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দোকান থেকে অবৈধভাবে বন্দুক পাচারের অভিযোগে এবার রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হল কলকাতার নামী বন্দুক বিক্রেতা সংস্থার তিন মালিক। ধৃতরা সুবীর দাঁ, অভীর দাঁ এবং সুব্রত দাঁ বলে এসটিএফ জানিয়েছে। ধৃতরা কলকাতার বিবাদী বাগ এলাকার প্রখ্যাত বন্দুক বিক্রেতা সংস্থা 'নরসিং চান্দর অ্যান্ড দাঁ-এর মালিক। সেইসঙ্গে এসটিএফের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে দোনলা ও একনলা মিলিয়ে মোট ৪১টি আগ্নেয়াস্ত্র।
বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার নিয়ে এর আগে উত্তর ২৪ পরগণার রহড়া থানায় একটি মামলা শুরু হয়েছিল। সেই মামলার তদন্তে নেমে এসটিএফ জানতে পারে কীভাবে বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের সঙ্গে কলকাতার বিবাদী বাগের এই দোকানটির যোগাযোগ রয়েছে। এসটিএফের একটি সূত্র জানায়, এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা এই দোকান থেকে কম দামে আগ্নেয়াস্ত্র যোগাড় করে অস্ত্রের বাজারে বেশি দামে বিক্রি করত। সেইসময় দোকান কর্তৃপক্ষকেও দপ্তরে তলব করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার গোয়েন্দাদের একটি দল দোকানে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের সঙ্গে দোকানের তিনজন মালিককে গ্রেপ্তার করেন।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি দোকানের থেকে কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কালোবাজারি করা হত? এবিষয়ে এসটিএফের একটি সূত্র জানায়, আগ্নেয়াস্ত্র রাখার লাইসেন্স আছে অথচ আর রাখার ইচ্ছা নেই এরকম বহু লোক আছেন। আবার এটা বাজারে বিক্রিও করা যায় না। এই ধরনের লোকজন এই দোকানে এসে তাঁদের বন্দুক জমা দিয়ে সেখান থেকে 'রিসিপ্ট কপি' নিয়ে যান। দীর্ঘদিন পরেও যদি তাঁরা আর তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে না যান তখন দোকান মালিকের সম্মতিতে সেই অস্ত্র কালোবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ফলে দেখা যায়, লাইসেন্স আছে একজনের নামে আবার অস্ত্র আছে আরেকজনের কাছে।
এর পাশাপাশি এই দোকান থেকে গুলিও পাচার হত বলে অভিযোগ। এসটিএফের সূত্রটি জানায়, বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানায় অস্ত্র তৈরি হলেও ভালো মানের গুলি তৈরি হয় না। কারণ গুলি তৈরির জন্য প্রয়োজন অনেক দামী যন্ত্রপাতি। সেজন্য অস্ত্র কারবারীদের তাকিয়ে থাকতে হয় এই দোকানগুলির দিকেই। সেখান থেকেই গুলি হাতবদল হয়ে চলে যায় কালোবাজারে। বিক্রি হয় চড়াদামে।