শিক্ষক দিবসে বড় চমক। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-১ ব্লকের সামাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলে এলাহি আয়োজন। ছোটদের মুখে হাসি ফোটাতে ইলিশ, চিংড়ি, আলুপোস্ত আর মুগের জিলিপির এলাহি ভোজের আয়োজন করলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সকালের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই স্কুল চত্বরে বইতে শুরু করে উৎসবের হাওয়া। মিড ডে মিলের রান্নাঘর থেকে ভেসে আসে চিংড়ি–ঝিঙে, ইলিশের ঝাল আর মুগের জিলিপির সুগন্ধ। এক পড়ুয়া জানায়, ‘বাড়িতে এই বছর এখনও ইলিশ খাওয়া হয়নি। কিন্তু স্কুলে আজ ইলিশ, চিংড়ি, জিলিপি, সবই খাইয়ে দিয়েছে! অন্য দিনের তুলনায় আজ অনেক বেশি ভাত খেলাম।’
বিদ্যালয়ের মোট ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১১০। শিক্ষক দিবসের আগের দিন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বিকাশ প্রামাণিক বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীরা আমাদের সন্তানের মতো। ওদের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছি। ইলিশ, চিংড়ির খরচ শিক্ষকরাই বহন করেছেন। একজন অভিভাবক মিষ্টির খরচ দিয়েছেন। সেই টাকায় মুগের জিলিপি দেওয়া হয়েছে।’
বাজারে যেখানে ইলিশের দাম কেজি প্রতি ৭০০ থেকে ২০০০ টাকা, সেখানে অনেক পরিবারের পক্ষেই এই মাছ কিনে খাওয়া দায়। স্বাভাবিকভাবেই, স্কুলে ইলিশ-চিংড়ি খাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে পড়ুয়ারা ও অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, ‘আজ ডিম বা খিচুড়ি নয়, ইলিশ আর চিংড়ি খাওয়াবে শুনে সকাল থেকেই অপেক্ষায় ছিলাম। খুব ভালো লেগেছে।’