বিধান সরকার: মানুষের পাশে থাকতে হবে, মানুষের জন্য কাজ করতে হবে- এ কথাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কতটা মানুষের পাশে থাকতে হবে, মানুষের কথা ভাবতে হবে সেই উদাহরণ দিতে গিয়ে হুগলির সাংসদ রচনা বলেন, 'আমার ছেলে মুম্বইতে থাকে, পড়াশোনা করে। দুমাস পরে দুদিনের জন্য বাড়িতে এসেছে। গতকাল রাত দুটোর সময় বাড়িতে আসে। আর আজ আমি আপনাদের কাছে এসেছি।'
সাংসদ আরও বলেন, 'আমি রাজনীতির লোক নই। তবে এই কদিনের যেটা বুঝেছি মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, মানুষের পাশে থাকতে হবে। তাই আমি সাংসদ হিসেবে আপনাদের পাশে সব সময় আছি যে কোনও প্রয়োজনে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আমার অফিস আছে সুগন্ধায় ওখানে গিয়ে দেখা করতে পারেন।'
হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার ২৮নম্বর ওয়ার্ডে রক্তদান শিবির ও মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক কৃতিদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন, সপ্তগ্রামে বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। তবে এদিনও চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারকে দেখা যায়নি সাংসদের সঙ্গে। বাণীমন্দির স্কুলে স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি নিয়ে সাংসদ বিধায়কের দ্বন্দ্বের পর দলীয় কোনও অনুষ্ঠানে একসঙ্গে থাকছেন না রচনা, অসিত।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় চুঁচুড়াতে একাধিক অনুষ্ঠান করেছেন বিধায়ক বিরোধী কাউন্সিলর বলে পরিচিত যারা তাদের ওয়ার্ডের অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হয়েছেন। আগামীকাল বিধায়ক অসিত মজুমদার বাংলা ভাষা ও বাঙ্গালীদের বঞ্চনার প্রতিবাদে সুগন্ধা থেকে খাদিনার মোড় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার মিছিল করবেন। সেখানে উপস্থিত থাকছেন না সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত বলেন, 'আমি চুঁচুড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাচ্ছি। আমার বোন আসছে বলে অনেকের জ্বালাপোড়া হচ্ছে। না খেয়েও অ্যাসিড হচ্ছে। চুঁচুড়ায় আমার জন্ম-কর্ম। ৪০ বছর রাজনীতি করছি। মানুষ থাকলে ধর্ম থাকবে, দল থাকবে, তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে। তাই মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। আমাদের সৌভাগ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একজনকে পেয়েছি আমরা।'