আসলে সদ্যই জিএসটির নতুন কাঠামো ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তাতে অধিকাংশ তামাকজাত পণ্যকে রাখা হয়েছে ‘পাপ পণ্যে’র আওতায়। ওই পণ্যগুলিতে ৪০ শতাংশ কর নির্ধারণ করা হয়েছে। বাদ গিয়েছে শুধু বিড়ি। দেশের বহু মানুষের কর্মসংস্থান যেহেতু বিড়ির উপর নির্ভরশীল, তাই ওই নেশার সামগ্রীটিকেও রাখা হয়েছে ১৮ শতাংশ করের আওতায়। সেই নিয়েই কটাক্ষ ছুঁড়তে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল কংগ্রেস। কেরল কংগ্রেসের তরফে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলা হল, “বিড়ি আর বিহার দুটোই B দিয়ে শুরু। সেকারণেই বোধ হয় বিড়িকে পাপ পণ্য হিসাবে ধরা হচ্ছে না।”
সুযোগ বুঝে কংগ্রেসের ওই পোস্টে কটাক্ষের তির ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির বলছে, এটা গোটা বিহারের অপমান। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী সোশাল মিডিয়ায় লিখলেন, “প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা-কে অপমান। এবার গোটা বিহারকেই অপমান। এটাই কংগ্রেসের আসল চরিত্র। বারবার দেশের সামনে সেটা প্রকাশ্যে চলে আসছে।” জেডিইউ নেতা সঞ্জয় ঝাঁ কটাক্ষের সুর আরও চড়িয়ে বলছেন, “B দিয়ে শুধু বিহার আর বিড়িই হয় না। বুদ্ধিও হয়। সেটা আপনাদের নেই।”
ভোটার অধিকার যাত্রায় ভালো সাড়া মিলেছিল। রাহুলের যাত্রায় ভিড় দেখে বিহার নিয়ে নতুন করে অঙ্ক কষা শুরু করেছিল রাজনৈতিক মহল। তারপর একের পর এক আত্মঘাতী গোল। প্রথমে দলের মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা-কে গালিগালাজ। এবার বিহার এবং বিড়িকে একাসনে বসিয়ে সোশাল মিডিয়া পোস্ট। ফের যেন আত্মঘাতী গোল করে বসল কংগ্রেস।