• যোগীর উদ্যোগে নতুন মাইলফলক! IGRS রিপোর্টে শীর্ষে বলরামপুর ও শ্রাবস্তী
    প্রতিদিন | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: গত আট বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশ সামগ্রিক উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। রাজ্যে শুধুমাত্র মানুষের মৌলিক অধিকার নয়, এমনকী সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের উন্নতির জন্যও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    এই অগ্রগতির একটি প্রধান হাতিয়ার হল ইন্টিগ্রেটেড গ্রিভান্স রিড্রেসাল সিস্টেম (IGRS)। এই সিস্টেমটি মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। IGRS-এর মাধ্যমে জনশুনানি, কল্যাণমূলক প্রকল্প এবং রাজস্ব সংক্রান্ত কাজগুলির উপর নিবিড় নজর রাখা হয়।

    আগস্ট মাসের IGRS রিপোর্টে বলরামপুর ও শ্রাবস্তী যুগ্মভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তাদের স্কোর ছিল সমান। শাহজাহানপুর দ্বিতীয় এবং হামিরপুর তৃতীয় স্থান লাভ করেছে।

    প্রতি মাসে IGRS রাজস্ব সংক্রান্ত কাজ, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির মতো বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে জেলাগুলির মূল্যায়ন করে। এতে ৪৯টি বিভাগের ১০৯টি প্রকল্পের পর্যালোচনা করা হয়। এই মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে জেলাগুলির র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়। আগস্ট মাসের পর্যালোচনা অনুযায়ী, বলরামপুর ও শ্রাবস্তী ১৪০ নম্বরের মধ্যে ১৩৭ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান দখল করেছে।

    শ্রাবস্তীর ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট অজয় কুমার দ্বিবেদী জানান, IGRS রিপোর্ট এমন জেলাগুলিকে স্বীকৃতি দেয় যারা প্রশাসনিক দক্ষতা, উন্নয়নমূলক কাজ এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে মরিয়া। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য অনুযায়ী শ্রাবস্তী সময়মতো প্রকল্পগুলি সম্পন্ন করছে, যার ফলে এটি গত কয়েক মাস ধরে IGRS এবং সিএম ড্যাশবোর্ড রিপোর্টে শীর্ষ পাঁচটি জেলার মধ্যে রয়েছে।

    বলরামপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পবন আগরওয়াল বলেন, উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি সময়মতো এবং গুণগত মান বজায় রেখে সম্পন্ন করার জন্য আধিকারিকদের সঙ্গে সাপ্তাহিক পর্যালোচনা বৈঠক করা হয়। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন জনগণের অভিযোগ দ্রুত সমাধানের উপর গুরুত্ব দেয় এবং নাগরিকদের কাছ থেকে সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পরেই IGRS রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তিনি নিশ্চিত করেন যে, বলরামপুরের এই ধারাবাহিক সাফল্য মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করেছে। ভবিষ্যতে জনগণের অভিযোগ নিষ্পত্তিতে একই ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে।

    এই র‍্যাঙ্কিংয়ে শাহজাহানপুর ১৩৪ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয়, হামিরপুর ১৩২ নম্বর পেয়ে তৃতীয়, পিলিভিট ১৩০ নম্বর পেয়ে চতুর্থ এবং সোনভদ্র পঞ্চম স্থান লাভ করেছে। এছাড়াও, আগস্ট মাসের এই রিপোর্টে শীর্ষ দশটি জেলার মধ্যে বেরেলি, আমেঠি, হাতরাস, ঔরিয়া এবং চান্দৌলিও রয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)