আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজনৈতিক ঝড়ের কাছে মাথা নোয়ালো কংগ্রেস। জিএসটি নিয়ে বিজেপিকে বিঁধতে গিয়ে বিড়ির সঙ্গে বিহারীদের তুলনা টেনে ছিল কেরল কংগ্রেস। বিহারে ভোটের মুখে যা নিয়ে বিতর্ক বাঁধে। হাত শিবিরকে চড়া সুরে তোপ দাগে বিজেপি। এরপরই ক্ষমা চাইল কংগ্রেস।
বিতর্ক মাথাচাড়া দেওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কংগ্রেস দলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলারে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। লেখা হয়েছে, "জিএসটি হার সংস্কার মোদির নির্বাচনী কৌশল। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, জিএসটি নিয়ে আমাদের বিদ্রুপ বিকৃত করা হচ্ছে। কেউ যদি এতে আঘাত পেয়ে থাকেন তবে আমরা ক্ষমা চাইছি।"
কী বলেছিল কেরল কংগ্রেস?গত বুধবার রাতে জিএসটির নতুন কাঠামো ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তাতে অধিকাংশ তামাকজাত পণ্যকে রাখা হয়েছে 'পাপ পণ্যে'র আওতায়। ওই পণ্যগুলিতে ৪০ শতাংশ কর নির্ধারণ করা হয়েছে। বাদ গিয়েছে শুধু বিড়ি। দেশের বহু মানুষের কর্মসংস্থান যেহেতু বিড়ির উপর নির্ভরশীল, তাই ওই নেশার সামগ্রীটিকে রাখা হয়েছে ১৮ শতাংশ করের আওতায়।
যা নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়তে গিয়ে বিতর্কে জড়ায় কংগ্রেস। কেরল কংগ্রেসের তরফে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলা হল, "বিড়ি আর বিহার দু'টোই বি (B) দিয়ে শুরু। সেকারণেই বোধ হয় বিড়িকে পাপ পণ্য হিসাবে ধরা হচ্ছে না।"
বিহারে ভোটের আগে মওকা বুঝে কংগ্রেসের ওই পোস্টে কটাক্ষের তির ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। বিষয়টিকে আঞ্চলিক গর্ব এবং সম্মানের বিষয় হিসাবে তুলে ধরা হয়। গেরুয়া শিবির বলছে, এটা গোটা বিহারের অপমান। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী সোশাল মিডিয়ায় লিখলেন, "প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা-কে অপমান। এবার গোটা বিহারকেই অপমান। এটাই কংগ্রেসের আসল চরিত্র। বারবার দেশের সামনে সেটা প্রকাশ্যে চলে আসছে।" জেডিইউ নেতা সঞ্জয় ঝাঁ কটাক্ষ করে বলছেন, "বি দিয়ে শুধু বিহার আর বিড়িই হয় না। বুদ্ধিও হয়। সেটা আপনাদের নেই।"
বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সমস্ত সীমা অতিক্রম করার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর প্রশ্ন, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব কি তাঁর মিত্রের মন্তব্যকে সমর্থন করেন? শেহজাদ বলেন, "রেবন্ত রেড্ডি থেকে ডিএমকে এবং কংগ্রেস, বিহারের প্রতি তাদের ঘৃণা স্পষ্ট।"
রাজনৈতিক উত্তপা টেন পেয়েই শেষপর্যন্ত ক্ষমতা চেয়ে নেয় কংগ্রেস।