আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্ত্রী বলেছিলেন বারবার, তারপরেও কোনওক্রমে ভুলে গিয়েছিলেন স্বামী। ব্যাস। তাতেই একেবারে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি ঘরে। স্বামী-শ্বশুরকে লাথি, চড়, এমনকি বেল্ট দিয়েও মেরেছেন বলে অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের ওই পরিবারের অন্দরের ঘটনার ভিডিও এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিও দেখে আঁতকে উঠছেন কেউ কেউ। কেউ কেউ প্রমাদ গুনছেন। কেউ আবার বলছেন, এই ভিডিও থেকেই শিক্ষা নিচ্ছেন, এমন ভুল করবেন না আর।
জানা গিয়েছে পিলিভিতের পুরানপুর এলাকার এই পরিবারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ব্যাপকহারে। ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, সঙ্গীতা নামে এক বিবাহিত মহিলা সামোসা খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। অর্থাৎ শিঙাড়া খেতে চেয়েছিলেন। ভাজাভুজি খাওয়া কতটা ভাল, খারাপ তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। অভিযোগ, স্বামী নাকি বাজারে গেলেও, শিঙাড়া নিয়ে আসেননি। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদও হয় অল্প বিস্তর। ঘটনাটি মূলত ৩০ আগস্টের। বিবাদ প্রথমদিকে অল্প বিস্তর থাকলেও, পরে তা ব্যাপক আকার নেয় কিছুক্ষণেই।
জানা যায়, ঝামেলা এমন আকার নেয়, যে পরিস্থিতি ঠিক না করতে তখন স্ত্রী তার বাবা-মা, ঊষা এবং রামলাদতেকে তার বাড়িতে ডেকে পাঠান। এতদূর পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও, কাহিনি অন্য মোড় নেয় সঙ্গীতার বাবা-মা আসায়। তাঁরা দু' জনকে চুপ না করিয়ে সঙ্গীতার বাবা মা শিবম অর্থাৎ সঙ্গীতার স্বামী এবং তাঁর শ্বশুরকে গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ ওঠে মারধোর করার।
সূত্রের খবর, উত্তেজনা এতটাই বেড়ে যায় যে পিলিভিট জেলার ভগবন্তপুরের আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা বিজয় কুমার পরের দিন পঞ্চায়েতে মামলাটি নিয়ে যান। ৩১শে আগস্ট, প্রাক্তন গ্রামপ্রধান অবধেশ শর্মার উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি পঞ্চায়েত-স্তরীয় বৈঠক বসে। প্রাথমিকভাবে, বিষয়টি মীমাংসার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যায় এবং বিষয়টি অমীমাংসিত থাকে।
অভিযোগ, আলোচনাতেও বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি। উল্টে আবারও, পুত্রবধূ, তাঁর মা, বাবা এবং মামা রামটোতর শিবমকে আক্রমণ করেন। বিজয় যখন শিবমকে রক্ষা করতে যান বলে অভিযোগ, তখন তাঁকে এবং তাঁর ছেলেকে সেখানে নির্মমভাবে মারধোর করা হয়। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হওয়ার পর, অবশেষে, বিজয় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এফআইআর-এ, বৃদ্ধ ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন যে, তিনি ২২ মে সেহরামাউ উত্তর পুলিশ স্টেশনের অধীনে তাঁর ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন। ৩০ আগস্ট, তাঁর পুত্রবধূ তাঁর ছেলে শিবমকে সামোসা আনতে বলেন। শিবম তা আনতে ভুলে যান কোনও প্রকারে। সেখান থেকেই শুরু বিবাদ। সঙ্গীতা সেই রাতে রেগে কিছু খাবার খাননি। কিন্তু রাত পেরিয়ে গেলেও, বিতর্ক থামেনি। এমটাই বোড় আকার নেই ওই বিবাদ, শিবমকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। জানা যায়, সঙ্গীতা শিবম এবং তাঁর বাবাকে লাথি, চড় এমনকি বেল্ট দিয়েও মারেন।