• মুণ্ডু কেটে, দেহ ১৭ টুকরো, শহর জুড়ে স্ত্রীর দেহ ছড়িয়ে দিলেন স্বামী, আঁতকে ওঠা কারণ এল সামনে...
    আজকাল | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: যুবতীর মা, মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে নিখোঁজ মামলা দায়ের করেছিলেন। পুলিশ তদন্তে নেমে, ওই মেয়ের টুকরো টুকরো দেহাংশের কথা জানতে পারল, যা শহর জুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। মহারাষ্ট্রের ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের ভিওয়ানি শহরে সম্প্রতি এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে খুন করে তাঁর দেহ ১৭ টুকরো করে কেটে ফেলেছে বলে অভিযোগ। কসাইখানা এলাকায় প্রথমে ওই যুবতীর কাটা মাথা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায়, ওই যুবতীর স্বামী, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম তাহা। যদিও এখনও স্ত্রীকে নৃশংস খুনের স্পষ্ট কারণ জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, তাহা নামের ওই ব্যক্তি পুলিশি জেরাতেও বারেবারে নিজের বক্তব্য, বয়ান বদল করছেন। 

    ৩০শে আগস্ট ইদগাহ রোড বস্তি ও কসাইখানা এলাকার কাছে যা মাথা উদ্ধার হয়, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ওই যুবতীর বয়স ২৫ থেকে ২৮।  ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাহা নামের ওই যুবককে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন সূত্রে খবর, তদন্তের সময় তাহা পুলিশকে জানিয়েছেন স্ত্রী পারভীন ওরফে মুসকান মোহাম্মদ তাহা আনসারিকে খুন করে, দেহ ১৭ টুকরো করেছিলেন এবং সেইসব টুকরো শহরের নানা স্থানে ছড়িয়ে দেন তিনি।

    এখনও পুলিশ যুবতীর দেশের বাকি অংশগুলি উদ্ধার করতে পারেনি। সূত্রের খবর, বাকি দেহাংশগুলি খুঁজে বের করার জন্য মহারাষ্ট্র পুলিশ ড্রোন এবং দমকল বাহিনী মোতায়েন করেছে। বেশকয়েকদিন ধরে মেয়ের খোঁজ না মেলার পর, মুসকানের মা হানিফা খান পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই সামনে আসে গোটা ঘটনা। ভৈওয়াদা থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর অশোক রতনপাড়খির মতে, হানিফা দাবি করেছেন যে তাঁর মেয়েকে দু' দিন ধরে ফোন করেও পাননি তিনি। জামাইকেও ফোনে পাননি। তারপরেই তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ যে কাটা মুণ্ডু দেখিয়েছেন হানিফাকে, তা দেখে মেয়েকে শণাক্ত করেছেন তিনি।

    এর আগে, দেশ টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল কর্ণাটকে।  ৭ আগস্ট, সকালবেলা। হাড়হিম কাণ্ড কর্ণাটকের গ্রামে। দিনের শুরুতেই গ্রামের মধ্যে তুমুল শোরগোল। কারণ? একটি কুকুর এক মহিলার কাটা মুণ্ডু মুখে নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। পথের মধ্যেই কুকুরের মুখে মানুষের মুণ্ডু দেখে শিউরে উঠেছিলেন সকলে। এর কিছুক্ষণ পর কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি হাত দেখতে পান গ্রামবাসীরা। যা দেখে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন সকলে। 

    এর কিছুক্ষণ পর আবারও হাড়হিম করা দৃশ্য দেখতে পান সকলে। সেই ঘটনাস্থল থেকে আরও খানিকটা দূরে সেই মহিলার দেহের আরও টুকরো এবং কাটা মুণ্ডুর খানিকটা অংশ পড়েছিল এক একপাশে। সেদিনই দশটি আলাদা আলাদা জায়গা থেকে সেই মহিলার দেহের টুকরো উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি যে আর পাঁচটা সাধারণ ঘটনা নয়, তা প্রথমেই বুঝতে পেরেছিলেন গ্রামবাসীরা ও পুলিশ। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের তুমাকুরু জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, কোরাতাগেরে গ্রামের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঘটনাটি ঘিরে। যদিও খুনের নেপথ্যে কী কারণ, এবং কে বা কারা খুনে জড়িত, তা এখনও জানা যায়নি। জোরকদমে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

     
  • Link to this news (আজকাল)