মৃত কনস্টেবলের নাম রামপদ মণ্ডল। বয়স ৫৬ বছর। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা এলাকার বাসিন্দা। ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বাগনান থানায় পোস্টিং পান। বাড়িতে স্ত্রী এবং বৃদ্ধা মা রয়েছেন। শুক্রবার বিভিন্ন এলাকায় টহল দেওয়ার পর বাগনান থানার গাড়িটি বরুন্দা এলাকায় মুম্বই রোডের কলকাতামুখী লেনের ধারে দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়ির ড্রাইভার ও কয়েকজন পুলিশকর্মী মুখ ধোয়ার জন্য গাড়িটিকে দাঁড় করিয়েছিলেন। সেই সময় গাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ির পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন রামপদ। সহকর্মীরা আশপাশেই ছিলেন। সেই সময়ই ম্যাটাডোরটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রচন্ড গতিতে পুলিশের গাড়ির পিছনের দিকে ধাক্কা মারে। পিষে দেয় রামপদকে। দু’টো পাই ধাক্কায় কেটে বাদ হয়ে যায়। ধাক্কার অভিঘাতে পুলিশের গাড়িটি অন্যান্য পুলিশ কর্মীদেরকে হালকা ধাক্কা মেরে রাস্তার ধারের খাতে পড়ে যায়। ঘাতক গাড়িটিও অন্য একটি গাছে গিয়ে ধাক্কা মারে।
আহতদের দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা রামপদ মণ্ডলকে মৃত বলে জানান। বাকি পুলিশকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ঘাতক গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তবে চালক পলাতক। চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান হাওড়া গ্রামীণ এলাকার পুলিশ সুপার সুবিমল পাল। তিনি বলেন, “একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক পুলিশকর্মী মারা গিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি পুলিশকর্মীরা ফ্রেশ হওয়ার জন্যই গাড়িটি দাঁড় করিয়েছিলেন। তখনই ঘাতক গাড়িটি পুলিশের গাড়ির পেছনে ধাক্কা মারে।”
উল্লেখ্য, গত ২০২৪ জানুয়ারি মাসে বরুন্দায় এমনই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে বাগনান থানার সাব ইন্সপেক্টর সুজয় দাস ও হোমগার্ড পলাশ সামন্ত। বাগনান অভিমুখে যাওয়া একটি লরি পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মারে। প্রায় ১০ মিটার দূরে ছিটকে পড়েছিল পুলিশের গাড়িটি।