• প্রতিমা তৈরিতে শুকনো ফুলফল ব্যবহার, পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিতে উদ্যোগ বাংলার শিল্পীর
    প্রতিদিন | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাসত: শুকনো ফুল, ফল, ছাল, পাতা, এমনকি গাছের শিকড়! উচ্ছিষ্ট হলেও এই সামগ্রীর কোনটাই ফেলনা নয়। পরিবেশ সচেতনতার এই বার্তা দিতেই উচ্ছিষ্ট সামগ্রী দিয়ে হাবড়ার শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার তৈরি করছেন উমার প্রতিমা। আগামী সোমবার সেই প্রতিমা পাড়ি দেবে কোচবিহার সদর শহরের খাগড়াবাড়ি সর্বজনীন শারোদৎসব নাট্যসংঘের মণ্ডপের উদ্দেশে।

    হাবড়ার বাণীপুরের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ দীর্ঘদিন ধরেই অভিনব প্রতিমা তৈরি করে খ্যাতি অর্জন করছেন। কখনও মুক্ত দিয়ে, আবার কখনও অব্যবহার্য সামগ্রী দিয়ে তিনি তৈরি করেছেন দেবীদুর্গার প্রতিমা। এবার তাঁর ভাবনায় শুকনো দেশি ও বিদেশি গাছের পাতা, ফুল, ফল সহ অন্যান্য অংশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে উমা প্রতিমা।

    গত জুন মাস থেকে তিনি এই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। প্রথমে মাটি দিয়ে তৈরি হয়েছে প্রতিমার কাঠামো। তারপর প্রতিটি প্রতিমার দেহ তৈরি হচ্ছে থাইল্যান্ডের পাটকাঠি দিয়ে। মুখ তৈরি হয়েছে বেলের মালা ব্যবহার করে আর চুল তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ফুলকপির শিকড়।

    সাজসজ্জায় দেবীদুর্গার কোমরে থাকা বিছে ও ওড়না তৈরি হয়েছে ঘাসফুল দিয়ে। শাড়ি এবং নখ তৈরি হয়েছে পেঁপে গাছের ছাল, পাইন ফল, অস্ট্রেলিয়ার পিনুক গাছের ফুলের পাপড়ি, আখরোট বাদামের ফুলের পাপড়ি, পামছাল। প্রতিমার চালি তৈরি হয়েছে কৎবেল দিয়ে। চালচিত্র তৈরি করা হয়েছে সিম দিয়ে। আর বেদি তৈরি হয়েছে তালপাতা, ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়ার ডুমুর ফল দিয়ে।

    শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার জানিয়েছেন, “মা দুর্গার উচ্চতা সাড়ে ১১ ফুট, চওড়া সাড়ে ৭ ফুট। অন্যান্য দেবদেবীর উচ্চতা ৭ ফুট। কমিটির প্যান্ডেলও আমি তৈরি করেছি। থিম কাল্পনিক স্বর্ণমন্দির। উচ্ছিষ্ট সামগ্রী দিয়ে তৈরি দেবী পূজিতা হবেন। কোনও দেবদেবীর হাতেই অস্ত্র থাকছে না, সকলেই অভয় দান করছেন।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)