• ‘রোসাঘরে’ জ্বালানির অভাব! জগন্নাথের মহাপ্রসাদ রান্না নিয়ে আশঙ্কার মেঘ
    এই সময় | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আশঙ্কা দেখা গিয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে মহাপ্রসাদ রান্না করা নিয়ে। কারণ জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরে দেখা দিয়েছে জ্বালানির সংকট। সূত্রের খবর, কাঠের তীব্র ঘাটতির কারণে মন্দিরে রান্না করা এবং মহাপ্রসাদ কত দিন প্রস্তুত করা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

    প্রসঙ্গত, বছরের ৩৬৫ দিন জগন্নাথ মন্দিরের পিছনে একটি বিরাট হেঁশেলেই তৈরি হয় ভোগ। একে রোসাঘর বলে। জগন্নাথ, বলরাম আর সুভদ্রার জন্য রোজ ৫৬টি পদ রান্না করা হয় রোসাঘরে। বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় এই পদগুলি। তাই পরিচিত মহাপ্রসাদ নামে।

    জানা গিয়েছে, জগন্নাথ মন্দিরের এই সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, সেখানকার রাঁধুনিদের সংগঠন সুয়ারা মহাসুয়ারা নিযোগ। জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরে জ্বালানির সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন তাঁরা। এই সমস্যা দ্রুত মেটানোর আর্জি নিয়ে পুরীর গজপতি মহারাজা দিব্যসিংহ দেবের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে সুয়ারা মহাসুয়ারা নিযোগ বলে শুক্রবার জানা গিয়েছে।

    ওই সংগঠনের দাবি, ওডিশা সরকার মন্দিরের রান্নার জন্য কাঠ সরবরাহ করে। কিন্তু এর প্রায় ৭৫ শতাংশই দাহের উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছে স্বর্গদ্বারে।

    রাঁধুনিদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, কার্তিক মাসে প্রচুর ভক্ত মন্দিরে আসেন। সেই সময়ে কাঠের চাহিদা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাবে। পর্যাপ্ত কাঠ ছাড়া, বৃহৎ আকারের দৈনিক নৈবেদ্য প্রস্তুত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

    জানা গিয়েছে, মন্দির প্রশাসন সম্প্রতি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে সুপাকার সেবাকারীদের বিক্রির উদ্দেশ্যে অবশিষ্ট ভোগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে রাঁধুনিরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলেও অভিযোগ।

    এর জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তাঁরা সেখানে ভোগ রান্না নিয়ে সতর্ক করেছেন। তাঁদের দাবি, যদি শীঘ্রই পর্যাপ্ত পরিমাণে জ্বালানি কাঠ সরবরাহ না করা হয়, তাহলে তাঁরা কার্তিক মাসে মহাপ্রসাদ প্রস্তুতি বন্ধ করতে বাধ্য হতে পারেন।

    যদিও এই নিয়ে মন্দির প্রশাসন কমিটির তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।

  • Link to this news (এই সময়)