নয়াদিল্লি: তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির ঢাক পেটাতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতারা। নরেন্দ্র মোদির শাসনে নাকি দেশ এগিয়ে চলেছে তরতর করে। এই অবস্থায় দেশের প্রগতি ঘিরে মোদি সরকারের চলতি ধ্যান ধারণাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন প্রবীণ বিজেপি নেতা মুরলী মনোহর যোশি। তাঁর সাফ কথা, আর্থিক বৃদ্ধিই শেষ কথা নয়। আয় বৈষম্য দূর করার মতো সামাজিক লক্ষ্য পূরণে আর্থিক নীতি কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। বিজেপিতে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পর নবতিপর প্রাক্তন সভাপতি যোশির স্থান হয়েছে দলেরই ‘মার্গদর্শক মণ্ডল’-এ।
একশো বছর পূর্তি উপলেক্ষ্যে ২৬ আগস্ট থেকে তিনদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল আরএসএস। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ দেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। তার প্রায় এক সপ্তাহ আগে ১৯-২০ আগস্ট দিল্লিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছিল সংগঠনের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তরা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের খবর, ছ’টি শাখা সংগঠনের প্রায় ৮০ জন প্রতিনিধি সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দেশের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে স্লাইডের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি যোশি।
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক মত পার্থক্যের কারণে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। সেই অমর্ত্য সেনকে উদ্ধৃত করে যোশি বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনই কোনও দেশের একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না। যদি আয় দিয়ে কোনও দেশের অর্থনৈতিক সাফল্য বিচার করা হয়, তবে জীবনের মানোন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য চাপা পড়ে য়ায়।’ যোশি বলেন, আর্থিক সমৃদ্ধির লক্ষ্য থেকে সরে এসে সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণে জোর দেওয়া উচিত।