১৫ দিন পার, গঠিত হল না সংবিধান সংশোধন বিলের পর্যালোচনার জন্য জেপিসি
বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: একপ্রকার নজিরবিহীন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পেশ করা বিল। তাও ১৫ দিন পার। চলছে স্নায়ুযুদ্ধ। বিরোধীদের ‘বয়কট’ মনোভাবের জেরে এখনও গঠন হল না প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকে পদচ্যূত করার সংবিধান সংশোধন বিল পর্যালোচনার যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)। পাঁচ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে এমন কোনও মামলায় অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রীর কেউ একটানা ৩০ দিন হেফাজতে থাকলেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে বিল পেশ হয়েছে সংসদে।
কিন্তু বিরোধীদের প্রবল আপত্তির জেরে পাশ করতে না পেরে গত ২০ আগস্ট বিল তিনটি পেশের পরেই সংসদীয় যৌথ কমিটিতে পাঠানোর ঘোষণা হয়। লোকসভা-রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৩১ সদস্যের কমিটি হবে। আগামী শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহের শেষদিনে কমিটিকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। কিন্তু কমিটিই তো তৈরি হল না। সূত্রে খবর, কমিটি গড়ে নাম ঘোষণা করতে অমিত শাহর অফিস থেকে লোকসভার স্পিকারকে ‘অনুরোধ’ করা হচ্ছে।
বিশেষ সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে অমিত শাহ যেভাবে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ সরানোর বিল পাশ করিয়েছিলেন, তেমনিভাবে ১৩০ তম সংবিধান সংশোধন বিলটিও পাশ করাতে চেয়েছিলেন। স্পিকারের অফিসেও জানানো হয়েছিল মন্ত্রকের মনোভাব। কিন্তু ওম বিড়লা তা মানতে চাননি। তাই শেষমেশ বিল পেশ করে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
লোকসভার স্পিকার দেখে নিতে চাইছেন বিরোধীদের কারা সদস্য হতে নাম জমা দিচ্ছে। সেই মতো বিরোধীদের কাছে নামও চাওয়া হয়েছে। সবার আগে তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই কমিটিতে কাউকে পাঠাবে না। একই পথ অনুসরণ করেছে সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, সিপিএম, আরজেডি। তবে কংগ্রেস এখনও দোটানায়। ডিএমকে’ও সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি। আসলে স্পিকার যেমন অপেক্ষা করছেন বিরোধীদের, একইভাবে বিরোধীরাও দেখতে চাইছেন, শেষমেশ কী করেন বিড়লা। চলছে স্নায়ুযুদ্ধ।