• বাংলার শিক্ষিকা তনুশ্রী ও মধুরিমাকে জাতীয় পুরস্কার
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: একেবারে ছোট থেকেই ছেলেমেয়েদের মধ্যে তৈরি করে দেন সঞ্চয়ের জরুরি অভ্যাস। কারণ তিনি জানেন, সারা জীবন ওই সঞ্চয়ের শিক্ষা কাজে লাগবে ছেলেমেয়েদের। সেই মতো স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময়ই ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেন একটি করে লক্ষ্মীর ভাঁড়। টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে তাতে টাকা জমায় খুদেরা। ক্লাস ফোর থেকে ফাইভে ওঠার সময় প্রাথমিকের পাঠ শেষে নিজের ‘ব্যাঙ্ক’ নিজেরাই সংগ্রহ করে নিয়ে যায় ছোটরা। আর পরবর্তী জীবনজুড়ে তৈরি হয়ে যায় একটি বোধ। সেই বোধের আর একটি নাম—সেভিংস। এমন অভিনব উদ্যোগ যিনি নিয়েছেন, খড়্গপুর কুচলাচাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা তনুশ্রী দাস শুক্রবার নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে এই বছরের জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। তাঁর সঙ্গেই এদিন বাংলা থেকে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন দিল্লি পাবলিক স্কুল নিউটাউনের কম্পিউটার সায়েন্স শিক্ষিকা মধুরিমা আচার্যও। 

    তনুশ্রী দেবী ২০২০ সালে শিক্ষারত্নও পেয়েছিলেন। পাঁচ বছরের ব্যবধানে জাতীয় পুরস্কার পেয়ে স্বভাবতই তিনি উচ্ছ্বসিত। শুক্রবার তনুশ্রী দেবী বলেন, ‘হাজার হাজার টাকা তো আর লক্ষ্মীর ভাঁড়ে জমে না। কিন্তু খুদেরা নিজেই টাকাপয়সা জমাচ্ছে, এই বোধটাই ওদের উৎসাহ দেয় বেশি। একবার মায়ের চিকিৎসা করানোর জন্য এক পড়ুয়া নিজের ভাঁড় আমার কাছ থেকে নিয়ে গিয়েছিল। সে নিজেই তাঁর মায়ের চিকিৎসার জন্য কিছু কন্ট্রিবিউট করতে পারছে, এই ভাবনাই ওকে আনন্দ দিয়েছিল। আমাদেরও। এই পুরস্কার প্রাপ্তির কৃতিত্ব কোনওমতেই আমার একার নয়।’ 

    ডিপিএস নিউটাউনের কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষিকা মধুরিমা আচার্য আবার স্কুল এবং পড়ুয়াদের হিতার্থে ডিজিটাল মাধ্যমে অবদান রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন গোড়া থেকেই। এদিন মধুরিমা বলেন, ‘দিল্লিতে পুরস্কার নিতে এসে আমার অন্যতম বড় প্রাপ্তি অন্যান্য স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে পরিচিত হওয়া। তাঁদের কাজ সম্পর্কে যেভাবে অবগত হয়েছি, তা আমাকে আরও ভালো কিছু করতে সবসময় অনুপ্রেরণা জোগাবে। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নেওয়া কোনওদিন ভুলব না।’ তিনি বলেন, ‘এআই কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশের একাধিক আশঙ্কা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই তা হয়তো অমূলক নয়। কিন্তু এআইকে অস্বীকার করার উপায় নেই। একে নিয়েই চলতে হবে। কীভাবে দৈনন্দিন জীবনযাপনে এআইকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগানো যায়, আমি সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।’ নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)