বিহারে ভোটের আগে অষ্টম পে কমিশনের কাঠামো তৈরিতে মরিয়া কেন্দ্র
বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় কর্মী সংগঠনগুলি আশা করছে অষ্টম পে কমিশনে ১৩ থেকে ৩৪ শতাংশ বেতন বাড়তে পারে। সাধারণত পে কমিশনের বেতন নির্ধারণের অন্যতম প্রধান ফর্মুলা ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর। আশা করা হচ্ছে, এই ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর হবে ১.৮৩ থেকে ২.৮৬ মধ্যে। সেই কারণেই বেতন সর্বাধিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। যদিও ২০২৮ সালের আগে অষ্টম পে কমিশনের সুপারিশ পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ এখনও পে কমিশনের সদস্য নিয়োগ ও টার্মস অফ রেফারেন্সই তৈরি হয়নি। পে কমিশন সংক্রান্ত সরকারি ঘোষণার পর প্রায় ন’মাস অতিক্রান্ত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কমিশনের কাঠামো ও রূপরেখাই ঘোষণা করা হয়নি। সরকারি সূত্রের খবর, বিহার ভোটের আগেই কমিশনের কাঠামো গঠন করে ফেলা হবে। যাতে প্রচারে বলা যায়, অষ্টম পে কমিশনে কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি হবে।
তবে যখনই তা চালু হোক, পে কমিশনের সুপারিশ ও বর্ধিত বেতন কার্যকর হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসের বেতন থেকে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় কর্মীরা বড় এরিয়ার পাবে। যদিও অষ্টম পে কমিশনে কেন্দ্রীয় কর্মীদের কিছু ভাতাকে বন্ধ করে দেওয়া হবে অথবা বেসিক পে তথা মূল বেতনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। এটি সপ্তম পে কমিশনেও করা হয়েছিল। অষ্টম পে কমিশনে ভ্রমণ ভাতা, স্পেশাল ডিউটি ভাতা, স্মল রিজিওনাল ভাতার অবলুপ্তি ঘটিয়ে মূল বেতনে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পাবে। বেতন কাঠামোকে সরল করার প্রয়াসও নেওয়া হবে। একইসঙ্গে এবার যে সম্ভাবনা নিয়ে প্রবল আলোচনা চলছে, সেটি হল, কেন্দ্রীয় কর্মীরা যে স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুবিধা পায়, তার কাঠামো বদলে ফেলার সুপারিশ করা হতে পারে। অভিযোগ এই ব্যবস্থায় প্রচুর অনিয়ম হচ্ছে। তাই মোদি সরকার ক্ষমতায় এসেই এই প্রথা বদলের চেষ্টা করেছে। সপ্তম পে কমিশনে বদল হয়নি। এবার হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।