• আইসি ফোন কেটে দেওয়ায় থানার গেটে বসে বিক্ষোভ এমপি খগেনের
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: কর্মীদের নিয়ে থানায় ঢুকে একেবারে বুক ফুলিয়ে মেজোবাবুকে কথা শুনিয়ে দেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। অভিযোগ, চাঁচল থানার আইসি সাংসদের ফোন কেটে দিয়েছেন। সেই ঘটনার পরেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। থানার আইসির সঙ্গে দেখা করার দাবিতে সমর্থকদের নিয়ে থানার গেটে বিক্ষোভ-অবস্থানে বসেন সাংসদ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে রাত অবধি চলে অবস্থান। আইসি দেখা না করলে থানা অচল করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি শোনা যায় সাংসদের গলায়। পদ্ম সাংসদের এই হঠকারিতায় অবাক সবাই। জানা গিয়েছে, গত ২৮ আগস্ট রাতে চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্রমপাড়া বুথের বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ শর্মা ও থানাপাড়া বুথের আরেক কর্মীর স্বামী সুমিত সরকারের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। দু’পক্ষের ছ’জন রক্তাক্ত হন। পুলিস স্বতঃপ্রণোদিতভাবে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে রাতেই উভয়পক্ষের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। গুরুতর জখম হওয়ার কারণে বিজেপির দুই নেতা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকেন। পরে গ্রেপ্তার হন প্রসেনজিৎ। বর্তমানে ধৃত ছ’জনই জেলবন্দি। অভিযোগ, ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিস। সুমিত সরকারকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। সংঘর্ষের সময় চাঁচল ১ ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল যুব সভাপতি জয়ন্ত দাসও সরাসরি সংঘর্ষের ঘটনায় ছিলেন। পুলিস তাঁকেও আড়াল করছে। পুলিসের দাবি, জয়ন্তর খোঁজ চলছে। সুমিত এখনও একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। ধৃত সুমলয় ঘোষের স্ত্রী লতা প্রামাণিক ঘোষ সাংসদের সঙ্গে থানায় উপস্থিত হয়ে বলেন,স্বামীকে অন্যায়ভাবে ধরা হয়েছে। আসল দোষীরা বাইরে ঘুরছে। প্রসেনজিতের বাবা অমলে অভিযোগ, আমার দুই ছেলে গুরুতরভাবে জখম হয়। অথচ তাদেরই জেলে ভরে রাখা হয়েছে। হামলাকারীরা এখনও বাইরে। এই বিষয়টি জানতেই সাংসদ খগেন এদিন থানায় যান। তাঁর অভিযোগ, নিরীহ মানুষদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার জবাব চাইতে আইসির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আইসিকে না পেয়ে ফোন করলে, কোনও কথা না শুনেই তিনি ফোন কেটে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হন সাংসদ। সাংসদের হুঁশিয়ারি, আইসি দেখা না করা পর্যন্ত থানার গেটেই অবস্থান-বিক্ষোভ চালাব। রাত পর্যন্ত চলে অবস্থান বিক্ষোভ।
  • Link to this news (বর্তমান)