• শিলিগুড়িতে ধর্মঘটে সিটিঅটো ও ম্যাক্সিক্যাব, চরম ভোগান্তি যাত্রীদের
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: টোটো নিয়ন্ত্রণে পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত উদাসীনতার অভিযোগ তুলে শুক্রবার থেকে শিলিগুড়িতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে শামিল হলেন সিটি অটো ও ম্যাক্সিক্যাব চালকরা। অভিযোগ, বারবার আবেদন জানিয়েও প্রতিশ্রুতি মতো শহরে টোটো নিয়ন্ত্রণ করছে না প্রশাসন। এমনকী এদিন সিটি অটো ও ম্যাক্সিক্যাব চালক ও মালিকদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের অনুমতিও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন চালকরা। এনিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সিটি অটো ম্যাক্সিক্যাব অপারেটর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিল। চালকরা ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। সেই মতো এদিন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁরা ধর্মঘটে নামেন। 

    সিটি অটোর ধর্মঘটের জেরে শিলিগুড়িতে সাধারণ মানুষ এদিন সমস্যায় পড়ে। মেডিক্যাল কলেজ, বাগডোগরা, সুকনা, শালবাড়ি, শালুগাড়া, এনজেপির মধ্যে চলাচলকারী সিটি অটো ও ম্যাক্সিক্যাব বন্ধ থাকায় বহু মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এদিন শিলিগুড়ির রাস্তায় সর্বত্রই বহু নম্বরহীন টোটো চলতে দেখা যায়। অভিযোগ, নম্বরহীন টোটো বেপরোয়াভাবে চলাচল করলেও পুলিস সব দেখেও এদিনও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।  এনিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সিটি অটো ও ম্যাক্সিক্যাব চালকরা। 

    সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি উজ্জ্বলকান্তি ঘোষ বলেন, প্রতিশ্রুতি মতো পুলিস প্রশাসন টোটো নিয়ন্ত্রণ করেনি। প্রতিদিনই টোটোর সংখ্যা বাড়ছে। গোটা শহরে অবৈধ টোটোতে ভরে গিয়েছে। সেদিকে পুলিসের নজর নেই। বারবার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এতে আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। বাধ্য হয়েই এদিন শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে চেয়ে পুলিসের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু ট্রাফিক পুলিস সেই মিছিলের অনুমতি দেননি। এতে চালকরা হতাশ হয়ে গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

    এদিন চালকরাও অভিযোগ করেন, আমাদের উপর অযথা পুলিসের জরিমানা আদায় এবং লাগামহীন টোটো চলাচলে উপার্জন হয় না বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে সংসার চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই ধর্মঘটে নামতে বাধ্য হয়েছি। এরপরেও পুলিস প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (ট্রাফিক) কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, কোনও টোটো বন্ধ করার নির্দেশ বা অনুমতি আমাদের কাছে নেই। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতি পেলেই পুলিস পদক্ষেপ করে। অবৈধ টোটোর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান জারি রয়েছে। প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ ধরনের টোটো আমরা আটক করে রাখছি। আর কোনও মিছিলের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে শহরের বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্যান্য অনুষ্ঠান দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনুকূল ছিল না বলেই অনুমতি দেওয়া হয়নি।  
  • Link to this news (বর্তমান)