• বড়দেবীর মতো গাত্রবর্ণ লাল দুর্গার, শতাব্দীপ্রাচীন পুজোয় জড়িয়ে রাজবংশীদের ভাবাবেগ
    বর্তমান | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • রাজীব বর্মন  দেওয়ানহাট

    রাজ আমল থেকে দিনহাটার ভেটাগুড়িতে পুজো হচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন লাল দুর্গার। কোচবিহারের বড়দেবীর মতো এই প্রতিমার গায়ের রংও লাল। তাই এলাকায় লালদেবী হিসেবেই বেশি পরিচিত। মহাষ্টমীতে পাঁঠা ও পায়রা বলি দেওয়া হতো এককালে। এখন তা বন্ধ। তার বদলে হয় কুমড়ো বলি। সেভাবে আড়ম্বর হয় না। নিষ্ঠা জড়িয়ে পুজোর সর্বাঙ্গে। ভেটাগুড়ির এই বারোয়ারি দুর্গাপুজোয় এলাকার অন্যান্য সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বেশি অংশ নেন রাজবংশীরা।

    ১৮১২ সালে কোচবিহারের মহারাজা হরেন্দ্র নারায়ণ রাসপূর্ণিমার দিন ভেটাগুড়ির রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করেছিলেন। সেই উপলক্ষ্যে প্রথমবার ভেটাগুড়িতে বসেছিল রাসমেলা। কয়েকবছর বাদে বারোয়ারি দুর্গাপুজো শুরু হয়। কোচবিহারের বড়দেবীর আদলে দুর্গা প্রতিমা তৈরি এবং গায়ের রং হয় লাল। বংশ পরম্পরায় প্রতিমা তৈরি করেন শিল্পীরা। পুজো কমিটির সম্পাদক শিবানন্দ রায় বলেন, ‘রাজ আমল থেকে নিষ্ঠা ভরে পুজো হচ্ছে দেবীর। তবে ঠিক কবে থেকে শুরু তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। শুনেছি ভেটাগুড়িতে রাজবাড়ি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কিছুদিন পর এই বারোয়ারি পুজোর সূচনা। ৩৭ বছর ধরে আমি এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত। নিয়ম, নিষ্ঠা ও রীতি মেনে লালদেবীর পুজো হয়। সকলে অঞ্জলি, ভোগ নিবেদন করতে পারেন।’ অভিজিৎ দাস, সমীর রায় নামে ভেটাগুড়ির দুই বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা জন্মের পর থেকে চৌপথিতে লালদুর্গার পুজো দেখছি। এই পুজো রাজ আমলে শুরু হওয়ায় এখানকার রাজবংশী মানুষের ভাবাবেগ জড়িয়ে আছে।’ -ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)